এমন শুরু আর কারও কপালে জোটেনি!
আয়ারল্যান্ডের হয়ে কাল ব্রেডিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে পেসার লিয়াম ম্যাকার্থির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ৮১ রান হজম করেছেন এই পেসার।
টি-টোয়েন্টির অভিষেকে এর আগে এত রান কোনো বোলারই হজম করেননি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে খরুচে বোলিং আছে শুধু একটি। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৯৩ রান দিয়েছিলেন গাম্বিয়ার মুসা জোবার্তে। মানে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে বোলিং ম্যাকার্থিরই।
কাল ম্যাকার্থি ২৪টি বল করে চার-ছক্কাই হজম করেছেন ১৬টি। ৫টি ছক্কার সঙ্গে খেয়েছেন ১১টি চার। ৫টি ছক্কা অবশ্য তাঁর দলের আরও তিন বোলার হজম করেছেন। ম্যাকার্থি ছাড়া আরও তিনজন ৪ ওভারে কমপক্ষে ৫০ রান দিয়েছেন। তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৬ রান।
কাল ম্যাকার্থি যখন বোলিংয়ে আসেন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৪ ওভারে ৪৫ রান। বল হাতে নিয়েই বড় ধাক্কা খেয়েছেন। তাঁর প্রথম দুই বলে টানা দুটি ছক্কা মারেন শাই হোপ। প্রথম ওভারে ম্যাকার্থি খরচ করেন ২১ রান।
নবম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে আবারও বেধড়ক পিটুনি খান। এবার আক্রমণে ছিলেন এভিন লুইস। এক ছক্কা ও চারটি চার মেরে ওই ওভারে তুলেছেন ২৪ রান। ম্যাকার্থি তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ‘কিছুটা সাশ্রয়ী’ ছিলেন। দুটি ওভারেই দিয়েছেন ১৮ রান করে। এভাবেই তিনি খরচ করেন ৮১ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে এত দিন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন কাসুন রাজিথা। টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং ছিল আরেক ম্যাকার্থির—ব্যারি ম্যাকার্থির।
২০১৭ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে তিনি দিয়েছিলেন ৬৯ রান। কালও তিনি দলে ছিলেন। দিয়েছেন ৪ ওভারে ৫৫ রান।
২৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থামিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়রা ম্যাচ জিতেছে ৬২ রানে, সঙ্গে সিরিজও। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি যে প্রবল বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গিয়েছিল!
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এনে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান লুইসের। ৪৪ বলে আট ছক্কা ও সাত চারে এই বাঁহাতি ওপেনার করেন ৯১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ২০ ওভারে এসেছে ২০টি করে ছক্কা ও চার। বাউন্ডারি থেকেই তারা তুলেছে ২০০ রান।