১৬৯ রানে থামল বাংলাদেশ, আফগানদের লক্ষ্য ১৬৪

0
102
বোল্ড হয়ে মাথা নিচু করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। তার ছবিই যেন পুরো দলের প্রতীক। ছবি: মো. রাশেদ

চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে প্রথম ১০ ওভারের চ্যালেঞ্জ সামলেও বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টপ-মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তাওহীদ হৃদয় ফিফটি করলেও ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে আটকে গেছে স্বাগতিকরা। বৃষ্টি আইনে আফগানরা ১৬৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে।

চট্টগ্রামে আফগানদের পেসার-স্পিনাররা একটু পরপর ধাক্কা দিয়েছেন। সঙ্গে হৃদম নষ্ট করেছে বৃষ্টি। তিন উইকেট হারানো দলকে সাকিব-হৃদয় টানার চেষ্টা করতেই ১৫.১ ওভারে বৃষ্টি নামে। সাত উইকেট হারানোর পর ৩৫তম ওভারে বৃষ্টিতে দ্বিতীয়বার বন্ধ হয় ম্যাচ। ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে কোন মতে অলআউট এড়িয়েছে হাথুরুসিংহের দল।

অথচ টস হেরেও ৩০ রানের শুরু পেয়েছিল স্বাগতিকরা। শতভাগ ফিট না হয়েও খেলতে নামা অধিনায়ক তামিম সপ্তম ওভারে ১৩ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার লিটন দাস দুই চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরেই নাজমুল শান্ত ১২ রান করে ফিরলে ৭২ রানে তৃতীয় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

সাকিব আল হাসান-তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে দলীয় রান একশ’ ছাড়ালেও তা ছিল ‘বালির বাঁধের’ মতো। সাকিব ৩৮ বল খেলে ১৫ রান করে আউট হন। পরেই মুশফিক ১ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এক প্রান্ত আগলে থাকা তরুণ হৃদয় ৬৯ বলে তিন চারে ৫১ রান করলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি দলে ফেরা আফিফ হোসেন (৪) কিংবা অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ (৫)।

আফগানদের বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণ পরীক্ষা নেবে জানাই ছিল। রশিদ খান ৯ ওভারে ২১ ও মুজিব উর ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়ে সেটাই করেছেন। তবে পেসার ফজলহক ফারুকী আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন আফগানদের পেসাররাও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তিনি ৮.৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন তামিম-হৃদয়সহ ম্যাচের সেরা তিন উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.