দীর্ঘ ২২ বছর পর, ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশের ফুটবল দল তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু ভারতকে পরাজিত করার এক স্মরণীয় মুহূর্ত সৃষ্টি করল।
গত দুই দশকে ভারতকে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ, তবে আজ ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা দারুণভাবে জয়ী হয়ে সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল। শেষবার শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র, তবে আজকের জয়টি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
ম্যাচের ১১ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার শেখ মোরছালিন। বাঁ পাশ থেকে রাকিবের বাড়ানো পাসটি ভারতের গোলকিপারের সামনে থেকে টোকা দিয়ে জালে পাঠান মোরছালিন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তার সপ্তম আন্তর্জাতিক গোল এবং তা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পরবর্তীতে দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে প্রথম গোলটি তুলে নেয়। ভারত ম্যাচে কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও তাতে কোনো সাফল্য পায়নি।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তারিক কাজী চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাকিল আহাদ তপু।
এর কিছু সময় পর গোলকিপার মিতুল মারমার একটি ভুলে গোলের সুযোগ পায় ভারত, তবে বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। সেই সময় ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান হামজা চৌধুরী। ভারতীয় খেলোয়াড়ের একটি ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করে বাংলাদেশের রক্ষণ শক্তিশালী রাখেন তিনি।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে একটি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তপু বর্মণের সঙ্গে ভারতের বিক্রমের ধাক্কায় হাতাহাতি পর্যন্ত পরিস্থিতি পৌঁছায়। পরে রেফারি তপু ও বিক্রমকে হলুদ কার্ড দেখান। এই মুহূর্তটি ছিল ম্যাচের এক তীব্র মুহূর্ত, তবে খেলা চলে যায় আবারও শান্তির দিকে।
প্রথমার্ধের শেষে বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। মোরছালিনের গোলটি এখনো সুরক্ষিত ছিল, এবং ভারত সমতা ফেরানোর জন্য কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে আসেনি। বাংলাদেশের রক্ষণ ছিল দুর্দান্ত, এবং গোলকিপার মিতুল মারমা ও হামজা চৌধুরীর দারুণ প্রচেষ্টায় ভারত একটি গোলও পায়নি।
বাছাইপর্বে প্রথম জয়ের পর পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাংলাদেশ। আগামী মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইপর্বে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।


















