প্রায় দুই বছর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। আজ শুক্রবার দুজনের মধ্যে ‘এক ঘণ্টা’ কথা হয়। জার্মানির সরকারি সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কথা হয়েছিল পুতিন ও শলৎজের। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর ফলে মস্কোর ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তখন থেকে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যসহ বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেননি পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দুই বছরের বেশি সময়ে শুধু ন্যাটোর দুই সদস্যদেশের প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে পুতিনের। তাঁদের একজন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। রাশিয়াকে নিয়ে পশ্চিমাদের নীতির বড় সমালোচক তিনি। অপরজন হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এমন সময় পুতিনকে জার্মান চ্যান্সেলর ফোন দিলেন, যখন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরই অবস্থান জার্মানির। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এই সহায়তা কতটুকু অব্যাহত থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আজকের আলাপে শলৎজ ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসনের’ নিন্দা জানান বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রেইট। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়াকে আগ্রহী হতে হবে বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর। ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন পড়বে জার্মানি সহায়তা দিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুতিনের আগে আজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফোন দেন বলে উল্লেখ করেছেন স্টেফেন হেবেস্ট্রেইট। তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কিকে আবার ফোন দেবেন বলে জানিয়েছেন ওলাফ শলৎজ।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, আজকের ফোনালাপের সময় পুতিনের সঙ্গে কথা না বলার জন্য ওলাফ শলৎজকে সতর্ক করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এর ফলে পুতিনকে একঘরে করে রাখার যে প্রয়াস চলছে, তাতে বাধা পড়বে আর এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে।
এএফপি, বার্লিন