আজ তাঁর ১৯তম জন্মদিন। সব ঠিক থাকলে পরিবার বা সতীর্থদের সঙ্গে নিশ্চয় দিনটি উদ্যাপন করতেন। কিন্তু যাঁর কথা বলা হচ্ছে, সেই মানুষটা আর বেঁচে নেই।
গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চীনের ফুটবলার গুয়ো জিয়াশুয়ান। তরুণ এই ডিফেন্ডার খেলতেন চায়নিজ সুপার লিগের ক্লাব বেইজিং গুয়োয়ানে। ২০২৩ সালে ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি। একই বছর চীন অনূর্ধ্ব–১৭ দল ও জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের ওয়ার্ল্ড স্কোয়াডের হয়েও খেলেছেন। বেইজিং গুয়োয়ান ও বায়ার্ন মিউনিখ—দুটি ক্লাবই তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বেইজিং অনূর্ধ্ব–২০ দল ও স্থানীয় ক্লাব রায়ো সিউদাদ আলকোবেন্দাসের মধ্যকার অনুশীলন ম্যাচ চলাকালীন মাথায় গুরুতর আঘাত পান জিয়াশুয়ান। তখন থেকে তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বেইজিংয়ের তিয়ানতান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বেইজিং গুয়োয়ান জানিয়েছে, তারা এই শোকাবহ পরিস্থিতি সঠিকভাবে সামলানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং গুয়ো জিয়াশুয়ানের পরিবারকে সব ধরনের সহাযোগিতা করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লাবটি লিখেছে, ‘আমরা আমাদের এমন এক সন্তানকে হারিয়েছি, যে ফুটবল ভালোবাসে। আমরা জিয়াশুয়ানের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
জিয়াশুয়ানের পরিবার বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ঘটনার (মাথায় আঘাতের) তথ্য গোপন করার এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার অভিযোগ জানিয়েছে। জিয়াশুয়ানের মারাত্মকভাবে আঘাত পাওয়ার কারণ কী, সেটিও পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়। পরিবার সেই ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে চিকিৎসার বিস্তারিত তথ্য এবং তাঁর বিমা সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়েছে।
তবে জিয়াশুয়ানের পরিবারের দাবি অস্বীকার করেছে বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, ‘আমরা চিকিৎসা বিভাগের সঙ্গে সব ধরনের সমন্বয় করেছি এবং তাঁর পরিবারের চাহিদা যতটা সম্ভব পূরণ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’

জিয়াশুয়ানের ভাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেছেন। যার ক্যাপশন, ‘১৮তম বছরের শেষ দিনে সে চিরতরে নিথর হয়ে গেল।’ এ সপ্তাহেই জিয়াশুয়ানের ভাই আরও লিখেছেন, ‘আমরা সত্যিটা জানতে চাই ও ন্যায়বিচার চাই।’