এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে রয়েছে। গত মার্চ–এপ্রিল সময়ের জন্য আকুতে ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে যেখানে রিজার্ভ ছিল ২২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার, দিন শেষে তা কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
আকু একটি আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস পর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের অর্থ নিষ্পত্তি করা হয়। আগে শ্রীলঙ্কাও আকুর সদস্য ছিল, তবে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তারা বেরিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত মার্চে জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারির জন্য ১৭৫ কোটি ও নভেম্বর–ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১৬৭ কোটি ডলার আকুতে পরিশোধ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় রিজার্ভ যেভাবে কমেছিল, এখন সেই গতিতে কমছে না; বরং সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভ কিছুটা স্থিতিশীলতা পর্যায়ে এসেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে কমে গত বছরের জুলাইয়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়নে। তবে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল তা বেড়ে ২২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ পাচার ও হুন্ডির চাহিদা কমেছে। ফলে প্রবাসী আয় ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এতে ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আকু বিল পরিশোধের পর হিসাব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার হিসাব চূড়ান্ত করা হবে। তখন রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।