বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করেছে।
এনটিআরসিএর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী কামরুল আহছানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিটিতে ১৫ জুন সই করা হলেও তা আজ সোমবার (২৩ জুন) প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ১১৩ জন প্রার্থীকে পাস ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৪ জুন বিকেল ৫টার দিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। প্রথম দফায় ফল প্রকাশের ১১ দিন পর ১৫ জুন সংশোধিত ফলাফলের বিজ্ঞপ্তি সই করা হয়। যদিও তা প্রকাশ করা হয়েছে আরও সাতদিন পরে।
এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে আজ প্রকাশিত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। তাদের মধ্যে ৮১ হাজার ২০৯ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় অংশে বলা হয়, ফলাফল প্রকাশের পর কোনো পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হননি। সেই প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলের হার্ডকপি যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয় যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে ৪ জুন প্রকাশিত ফলাফলে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
পরে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলের হার্ডকপি ও সফট কপি যাচাই করে দেখা যায় যে, ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১১৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে (৬০৫২১+১১৩) = ৬০৬৩৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।