চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে সানি দেওলের ‘গদর ২’। মুক্তির পর দারুণ ব্যবসা করছে ছবিটি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আসছে শাহরুখ খানের ‘জাওয়ান’। এই দুই অভিনেতার নতুন দুই ছবি মুক্তির ব্যবধান মাসখানেক হলেও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যবধান অনেকটা। তবে ‘গদর ২’ সিনেমার সাফল্য ঘুচিয়েছে সেই দূরত্ব।
১৯৯৩ সালে ‘ডর’ ছবিতে শেষবার তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। শোনা যায়, নবাগত শাহরুখের সামনে সেটে বার বার নাকি হেনস্থা করা হচ্ছিল সানিকে। মেনে নিতে পারেননি ধর্মেন্দ্র-পুত্র। প্রায় ১৬ বছর কথা বন্ধ ছিল দুই তারকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাক্তদের ‘আস্কএসআরকে’ সেশন করতে দেখা যায় শাহরুখকে। সেখানেই এক অনুরাগী তাকে জিজ্ঞেস করেন ‘গদর ২’ দেখেছেন আপনি?’ জবাবে শাহরুখ লেখেন, ‘হ্যাঁ, দারুণ লেগেছে।’
অনেকেরই ধারণা ছিল, ‘গদর ২’ মুক্তির পর যখন শাহরুখ সানির ছবি দেখলেন, তখন পুরনো তিক্ততা ভুলে ফের নিজেদের সম্পর্ক প্রীতিময় করার চেষ্টা করেছেন দুই অভিনেতা! তবে ঘটনাক্রম ঠিক তেমন নয়। আসলে, ‘গদর ২’ মুক্তির আগেই সানিকে ফোন করে শুভেচ্ছাবার্তা দেন বাদশা।
সানির কথায়, ‘ছবিটা দেখার আগেই শাহরুখ আমাকে ফোন করেন। পরে আমায় জানান, ছবির সাফল্যে ভীষণ খুশি। আমায় ছবির সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন। আমিও ধন্যবাদ জানাই ওঁকে। শুধু শাহরুখ নয়, বেশ কিছু ক্ষণ ওঁর স্ত্রী গৌরীর সঙ্গেও কথা হয় আমার। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি আমরা।’
‘ডর’ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সানি এবং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শাহরুখকে। গতবাঁধা নিয়ম অনুযায়ী খলনায়কের চেয়ে নায়কের চরিত্রই সিনেমায় বেশি গ্ল্যামারাসভাবে দেখানো হয়। কিন্তু ‘ডর’ ছবির ক্ষেত্রে হয়েছিল উল্টোটাই।
শাহরুখের সঙ্গে ১৬ বছর কথা বন্ধের প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, ‘আমি শাহরুখের সঙ্গে কথা বলা কখনওই বন্ধ করিনি। আমি সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। কোথাও বিশেষ যেতামও না। যেখানে শাহরুখের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ারই কোনও প্রশ্ন নেই, সেখানে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গই বা ওঠে কী করে?’