টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে মাসখানেক আগে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৯ জেলার মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি আর না থাকলেও ভয়াবহতার ছাপ রয়ে গেছে। এখনও কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ। বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই বাস করছেন অন্যের আশ্রয়ে। ফসল ও কর্ম হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব।
এরই মধ্যে সাম্প্রতিক এ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ হিসাব প্রকাশ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানিয়েছেন, মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাম্প্রতিক বন্যায়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাবের পাশাপাশি উপদেষ্টা আরও জানান, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে মোট ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন প্রত্যক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন।
একইদিন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ কোটি টাকার একটি অনুদানের চেক গ্রহণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়া হবে এ টাকা। মূলত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন থেকে এ টাকা দেওয়া হয়েছে।