জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তিনি ব্যাখ্যা জানতে চান। যে কথা যুক্তরাষ্ট্র বলেনি, সে কথা সরকার কেনো বলছে? সরকার চলে যাওয়ার বাহানা খুঁজছে। সরকারের যাওয়ার ব্যবস্থার জন্যই এই পদযাত্রা। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, দলীয় সরকারের অধীন কোনো ভোট তাঁরা হতে দেবেন না। সরকার যত খেলাই খেলুক, তাঁরা ভোটে যাবেন না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছিল, বিরোধী দলের শক্তি থাকলে মাঠে নামুক। আর যখন তাঁরা মাঠে নেমেছেন, তাতে আওয়ামী লীগের পায়ে কাঁপন ধরে গেছে।
পদযাত্রা চলাকালে সড়কের পাশের কিছু মানুষকে হাত নাড়িয়ে সমর্থন জানাতে দেখা যায়। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা পথচারীদের মধ্যে ১৪ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ করেন।
পদযাত্রা থেকে ‘রাষ্ট্রের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’, ‘সংবিধানের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। পদযাত্রা চলাকালে সড়কে পুলিশি নিরাপত্তা দেখা যায়।
কর্মসূচিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারীসহ মঞ্চের অন্য নেতারা অংশ নেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ ঢাকা উত্তরেও গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের কথা।