১০–০ গোলের জয় ক্লাব বিশ্বকাপের রেকর্ড, কিন্তু বায়ার্নের ইতিহাসে নয়

0
18
আরও একটি গোল, আবার বায়ার্নের খেলেোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। এভাবে ১০ বার উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তাঁরাএএফপি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আগে যা হয়নি, আজ সেটাই হয়েছে। টুর্নামেন্টটির দুটি রেকর্ড একই ম্যাচে ভেঙে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির জালে ১০ গোল দিয়েছে জার্মানির দল বায়ার্ন। বিপরীতে কোনো গোল খায়নি তারা। একই সঙ্গে তারা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে।

এর আগে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে কোনো দল ৬ টির বেশি গোল করতে পারেনি। আর কোনো দল জিততে পারেনি ৫ গোলের বেশি ব্যবধানে। রেকর্ড দুটি এত দিন ছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের দখলে। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে ৬ গোল করেছিল তারা, সেই ম্যাচটি জিতেছিল ৬-১-এ, অর্থাৎ ৫ গোলের ব্যবধানে।

ম্যাচ শেষে বায়ার্নের খেলোয়াড়দের বড় জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আনন্দ, এএফপি

অনন্য এই রেকর্ড গড়ার দিনে বদলি হিসেবে নেমে হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার্নের জামাল মুসিয়ালা। এ ছাড়া দুটি করে গোল করেছেন কিংসলি কোম্যান, মিশেল ওলিসে ও টমাস মুলার। সাচা বোয়ে করেছেন একটি গোল। প্রথমার্ধেই ৬-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন।

ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই অকল্যান্ডের বক্সের আশপাশে দলটির ১০ জন খেলোয়াড় ছিল। গোলকিপারসহ ধরলে ১১ জন। অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার ছাড়া বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ই বেশির ভাগ সময় ছিল অকল্যান্ডের বক্সের সামনে।

ম্যাচে বায়ার্নের বল দখল ছিল ৭২ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে ৩৩টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে রাখতে পারে ১৭ টি, এর মধ্যে ১০ টিতে গোল পেয়েছে। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ বল দখল রাখা অকল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বায়ার্নের ১০টি কর্নার পাওয়ার বিপরীতে অকল্যান্ড পেয়েছে মাত্র দুটি।

এত দাপুটে এবং বড় ব্যবধানে পাওয়া জয়ের পরও নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বায়ার্ন। দলটির ইতিহাসে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বড় জয়টি ১৫ গোলের। ১৯৯৭ সালের জার্মান কাপে ওয়াল্ডবার্গকে ১৬-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে দলটির সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডও এটিই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.