
৩৯৩৫ দিন। বছরে হিসাব করলে ১০ বছর ২৮২ দিন।
এত দিন পর কাল স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার প্রত্যাবর্তনটা রাঙিয়েছেন এ সংস্করণে নিজের সেরা বোলিং করেই।
রোববার ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টিতে ডারহামের বিপক্ষে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে বোলিং ওপেন করা অ্যান্ডারসন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের আগের সেরা ছিল ২৩ রানে ৩ উইকেট। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে ইংল্যান্ডের হয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সে ম্যাচটি খেলেন অ্যান্ডারসন। এই রোববারের আগে এ সংস্করণে খেলা ৪৪ ম্যাচে অ্যান্ডারসনের সেটিই ছিল একমাত্র ৩ উইকেট।

১০ বছর ২৮২ দিন পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট খেলেছেন—এমন কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি দিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরার রেকর্ড এটিই।
অ্যান্ডারসন ভেঙেছেন এক ইংলিশ খেলোয়াড়েরই রেকর্ড। নামটা অবশ্য খুব পরিচিত নয়—আমজাদ খান। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্টটি খেলেছিলেন এই পেসার। একই বছর ইংল্যান্ডের হয়ে একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিও খেলেছিলেন আমজাদ।
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি খেলার পর ৯ বছর ৫১ দিন এ সংস্করণে কোনো ম্যাচ খেলেননি আমজাদ। ২০২১ সালে ডেনমার্কের হয়ে একেবারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই ফেরেন ৪১ বছর বয়সে। ডেনমার্কের হয়ে মোট ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আমজাদ।
টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলারদের মধ্যে রেকর্ড গড়লেও অ্যান্ডারসন টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের রেকর্ডে আছেন অনেক পেছনেই। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলা অ্যান্ডারসন আছেন ২৯ নম্বরে।

সবচেয়ে বেশি দিন পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফেরার রেকর্ডটা রায়ান টাপিনের। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে জ্যামাইকার বিপক্ষে অভিষেক বাহামার এই অলরাউন্ডারের। ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত টাপিনের সেটিই হয়ে ছিল স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র ম্যাচ। এ বছরের ২০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে বাহামা জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ১৭ বছর ৭৩ দিনের ‘নির্বাসন’ কাটিয়ে ফেরেন ৩৯ বছর বয়সী টাপিন। এরপর বাহামার হয়ে আরও তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।
টাপিনের আগে রেকর্ডটা ছিল বাহামার আরেক ক্রিকেটার ডোয়াইট উইকলির। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার পর ১৬ বছর ৩০৪ দিন এ সংস্করণে বাইরে ছিলেন উইকলি। ২০০৪ সালে বাহামার হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়ে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার।