মুম্বাইতে এখন ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টি মানেই ধোঁয়াওঠা এক কাপ চা। কিন্তু চা পান করার জন্য শ্রদ্ধা কাপুরের বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। তিনি দিনের যেকোনো সময় চায়ের কাপে চুমুক দিতে প্রস্তুত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর চা-প্রেম নিয়ে এক মজাদার কাহিনি শোনালেন।
ছায়াছবির জগতের তারকারা এখন স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চিনি মেশানো দুধ চা বা কফি থেকে নিজেদের দূরেই রাখেন। তাই তাঁদের হাতে সচরাচর গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি দেখা যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে একদম উল্টো বলিউড নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুর। গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি তাঁর মুখে খুব একটা রোচে না। শ্রদ্ধার পছন্দ চিনি আর দুধ মেশানো চা। আর সারা দিনে চার কাপ চা তাঁর চাই। বাসার তৈরি চা পেলে শ্রদ্ধার মন আরও খুশ।
কিছু দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে এ কথা ফাঁস করেছেন শ্রদ্ধা নিজেই। ‘চা খাবেন তো?’, তিনি জিজ্ঞেস করেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে। না, বলতেই বড় বড় চোখ করে বলেন, ‘একি, চা খাওয়াবেন না!’ এই বলে নিজের চায়ের কাপে আলতো চুমুক দিয়ে শ্রদ্ধা তাঁর চা-প্রেমের কাহিনি মেলে ধরেন।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘চা সম্পর্কে আমি নন-স্টপ কথা বলতে পারি। আর দিনের যেকোনো সময় চা খেতে পারি। দুনিয়ার কোনো কিছুর বিনিময়ে চা-কে আমি ছাড়তে পারব না। আমার মতে আমার বাড়ির তৈরি চা, এই দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা। ২০ বছর বয়স থেকে আমি চায়ের প্রেমে পড়েছি।
তার আগে আমি চায়ের স্বাদ জানতাম না। ২০০৭ সালে সুনীতা আমাদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি আজও আমাদের বাড়িতে আছেন। তাঁর হাতের চা খেয়েই আমি চায়ের প্রেমে পড়ে যাই। সেই থেকে আমি আদ্যোপান্ত চা-প্রেমী হয়ে উঠেছি।’
এখানেই শেষ নয়। চায়ের প্রসঙ্গে শ্রদ্ধা আরও এক মজাদার কাহিনি শুনিয়েছিলেন।
তিনি এক গাল হেসে বলেন, ‘চায়ের প্রেমে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাপের সন্ধান শুরু করেছিলাম। বুঝেছিলাম যে চায়ের প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে ভালো একটা কাপ জরুরি। তাই নিজের জন্য এক স্পেশাল কাপ চাই। জুহুর এক নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকানে চায়ের কাপ কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে কাপের দাম দেখে আমি তো অবাক। অবশেষে নিজের জন্য একটা সিরামিকের কাপ কিনেছিলাম। কাপটা দারুণ পছন্দ হয়েছিল। তখন সেই কাপের দাম নিয়েছিল ৭৫০ রুপি। এত দামি কাপে চা খাব ভেবেই আমার কেমন যেন লাগছিল। মনে হচ্ছিল কাপটা সোনার, আর এই কাপকে খুব যত্নে রাখতে হবে (সশব্দে হেসে)। বাড়িতে গিয়ে মাকে বলি যে এই কাপে আমি ছাড়া আর কেউ যেন হাত না দেয়। কাপটা ধোয়া, মোছা—আমি সব নিজের হাতেই করব। কাপটার বয়স ১৬ বছর পার হয়ে গেছে। বুঝতেই পারছেন যে কাপটার অবস্থাও খারাপ। এখনো আমি সেই চটাওঠা কাপেই চা খাচ্ছি।
আর কাপটাতে এখনো কাউকে হাত দিতে দিই না। কাপটার সঙ্গে অদ্ভুত এক আবেগ তৈরি হয়েছে আমার। আমার মা বলেন যে এতগুলো বছর হয়ে গেছে, এবার কাপটাকে বিদায় জানিয়ে এক নতুন কাপ কিনতে। কিন্তু আমি মোটেও রাজি নই। কাপটা না ভাঙা পর্যন্ত আমি এতেই চা খাব।’
শ্রদ্ধাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ ছবিতে। লাভরঞ্জন পরিচালিত এই ছবিতে তাঁকে বলিউড নায়ক রণবীর কাপুরের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গেছে। ছবিটি বক্স অফিসে ভালোই সফলতা পেয়েছে।
শ্রদ্ধা সম্প্রতি ‘স্ত্রী টু’ ছবির শুটিং করেছেন। এই ছবিতে তিনি জুটি বেঁধেছিলেন রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে। অমর কৌশিক পরিচালিত ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছিল। আর তাই ‘স্ত্রী টু’কে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে।
