জার্সি নম্বর ‘৫০০০’, জার্সি নম্বর ‘১০০’।
টানা দুই ম্যাচে দুটি স্মারক জার্সি পেয়েছেন বাবর আজম। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে পেয়েছিলেন ‘৫০০০’ লেখা একটা জার্সি। সেদিন ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
শুধু মাইলফলকই নয়, হাশিম আমলাকে টপকে দ্রুততম ৫ হাজার রানের রেকর্ডও গড়েছিলেন। রোববার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে জার্সি উপহার পেয়েছেন মাঠে নামার মুহূর্তেই। এটি ছিল ওয়ানডেতে তাঁর শততম ম্যাচ।
১০০তম ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি বাবর। নিউজিল্যান্ডের ২৯৯ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অধিনায়ক আউট হয়েছে ৫ বলে ১ রান করে। ম্যাচে তাঁর দলও হেরেছে ৪৭ রানের ব্যবধানে।
তবে দিন শেষের হিসাব-নিকাশে একটা জায়গায় ঠিকই রেকর্ড গড়ে নিয়েছেন বাবর। ১০০ ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান (৫০৮৯) এখন বাবরের, সবচেয়ে বেশি ১৮টি সেঞ্চুরিও। এ ক্ষেত্রেও পেছনে ফেলেছেন আমলাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান প্রথম ১০০ ওয়ানডেতে ৯৭ ইনিংস ব্যাট করে তুলেছিলেন ৪ হাজার ৮০৮ রান, সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৬টি। গড় ছিল ৫৩.৪২ রান। ১০০ ওয়ানডেতে ৯৮ ইনিংস ব্যাট করা বাবর রান তুলেছেন ৫৯.১৭ গড়ে।
বাবর-আমলার পর প্রথম ১০০ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান একজন ভারতীয়র। তবে সেটা বিরাট কোহলি বা শচীন টেন্ডুলকারের নয়, বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ানের। ১০০ ওয়ানডেতে ১৩ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৩৩ গড়ে ৪ হাজার ৩০৯ রান করেছিলেন ধাওয়ান। তালিকার প্রথম পাঁচজনের বাকি দুটি নাম ডেভিড ওয়ার্নার ও শাই হোপের। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নারের ১০০ ওয়ানডের রান ৪ হাজার ২১৭, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোপের রান ৪ হাজার ১৯৩।
ব্যাটিংয়ের ধরন, ধারাবাহিকতা ও বিভিন্ন মাইলফলকের সূত্রে বাবরের সঙ্গে যাঁর তুলনা টানা হয়, সেই কোহলি অবশ্য ১০০ ওয়ানডে বিচারে অনেকটাই পিছিয়ে। প্রথম ১০০ ওয়ানডের ৯৭টিতে ব্যাট করে ৪ হাজার ১০৭ রান তুলেছিলেন কোহলি, যা ভারতীয়দের মধ্যে ধাওয়ানের পর দ্বিতীয় আর সব মিলিয়ে নবম।