টানা তিন বছর সুপারকোপা বা ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জিতে ট্রফিটাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল ইন্টার মিলান। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় গতকাল রাতে এসি মিলানের বিপক্ষে ‘মিলান ডার্বি’র ফাইনালেও ফেবারিট ছিল তারা।
ম্যাচের ৫১ মিনিট পর্যন্ত সে শক্তির তারতম্য মেনেই এগোচ্ছিল খেলা। রিয়াদের আল আওয়াল স্টেডিয়ামে লাওতারো মার্তিনেজ ও মেহদি তারেমির গোলে এসি মিলান পিছিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।
ইন্টারের টানা চতুর্থ সুপার কাপে শিরোপা জয় তখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপরই যেন বদলাতে শুরু করল দৃশ্যপট। ৫২ মিনিটে থিও এর্নান্দেজ এক গোল শোধ করেন মিলানের হয়ে। এরপরও ম্যাচ ইন্টারের হাতেই ছিল। কিন্তু ৮০ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোল করতেই যেন মনোবল ভেঙে পড়ে ইন্টারের।
অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ানো এই গোল আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে মিলানের। এরপর যোগ করা সময়ে ট্যামি আব্রাহামের গোলে নিশ্চিত হয় ৮ বছর পর মিলানের সুপারকোপা জয়। অন্য দিকে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও হতাশার এই হারে ইন্টারের জেতা হলো না সুপারকোপার টানা চতুর্থ শিরোপা।
রোমাঞ্চকর গল্প লিখে পাওয়া দুর্দান্ত এই জয়ে এসি মিলানের হয়ে নিজের কোচিং অধ্যায়টাও দারুণভাবে শুরু করলেন সের্জিও কনসেইসাও। মিলানের হয়ে মাত্র দুই ম্যাচ ডাগআউটে দাঁড়িয়েই পেয়ে গেলেন শিরোপার দেখা। গত ডিসেম্বরে পাওলো ফনসেকার জায়গায় মিলানের নতুন কোচের দায়িত্ব নেন কনসেইসাও। এর আগে তাঁর অধীনে সুপার কাপের সেমিফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়েছিল মিলান। সেই ম্যাচে মিলান জিতেছিল ২-১ গোলে।
দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে শিরোপা জয়ের প্রতিক্রিয়ায় কনসেইসাও বলেছেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের জন্য খুবই আনন্দিত, কারণ কাজটা সহজ ছিল না। আমি যখন এসেছিলাম এখান পরিবেশ সেরা অবস্থায় ছিল না। এই দুই ম্যাচের আগে কাজ করার তেমন কোনো সুযোগও ছিল না। আমরা দুটি শীর্ষ স্তরের দলের বিপক্ষে খেলেছি। এখন আমরা দারুণ আনন্দিত। আজ উদ্যাপন করব এবং কাল থেকে আমরা কালিয়ারির (সিরি ‘আ’তেমিলানের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ) বিপক্ষে ম্যাচে মনোযোগ দেব।’
অন্য দিকে দলের এমন হারের জন্য নিজেদের দোষই বড় করে দেখিয়েছেন মার্তিনেজ। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘প্রথমার্ধ ছিল ইতিবাচক, আমরা ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরই যেন ইন্টার খেলা থামিয়ে দিল। পরবর্তীতে আমরা একই গতিময়তা ও ছন্দ ধরে রেখে খেলতে পারিনি। এমন ম্যাচে যার মূল্য আপনাকে চুকাতে হবে।’