আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৭-০ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলে ৮-১ গোলে জিতে শেষ আটে পা রেখেছে দলটি। ওই জয়ে পাঁচ গোল করেছেন সিটিজেন স্ট্রাইকার আর্লিং হ্যালন্ড।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজের পঞ্চম এবং দলের ষষ্ঠ গোলটি আসে হ্যালন্ডের পা থেকে। এরপর ৬৩ মিনিটে তাকে বদলি করে তুলে নেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওয়ালা। মাঠে নামান হুলিয়ান আলভারেজকে।
ম্যাচের পুরোটা খেলার সুযোগ দিলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছয় গোল অর্থাৎ ডাবল হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারবেন বাঁ-পায়ের স্ট্রাইকার হ্যালন্ড। তাকে ওই সুযোগ কেন দেননি পেপ গার্দিওয়ালা।
এমন প্রশ্নে স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘মাত্র ২২-২৩ বছর বয়সেই ওই কীর্তি গড়ে ফেললে এটা ওর জন্য বিরক্তিকর হয়ে যেত। ভবিষ্যতে ওর কীর্তি গড়ার লক্ষ্য থাকতো না ওর। সেজন্য ওকে বদলি করেছি।’
এছাড়া ম্যানসিটি কোচ জানিয়েছেন, যখন ম্যাচ ‘ওভার’ হয়ে যায় তখন মূল খেলোয়াড়কে বদলি করে অন্যদের সুযোগ দেওয়ার চিন্তা করন তিনি। হ্যালন্ড পাঁচ গোল করায় কোচ এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব সময় ওরা দুই-তিনটা করে গোল করবে না। কারণ প্রতিপক্ষ বলে একটা কথা আছে।
হ্যালন্ড এদিন বলে ৩০-৩৫ টাচ দিয়েছে বলে। তাতেই তিনি পাঁচ গোল পেয়ে গেছেন। লাইপজিগের বিপক্ষে প্রথম লেগে আবার ওই হ্যালন্ডকে মাঠে খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন কোচ পেপ। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ভালো ফুটবল খেলেননি নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। তাকে নিয়ে কাজ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন গার্দিওয়ালা।