হুয়াওয়ের সাসটেইনেবিলিটি ফোরামে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ

0
117

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং টেলিযোগাযোগ পণ্য ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আয়োজিত সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম-২০২৩ এ ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা প্রকৃতি ও মানবতার স্থিতিস্থাপকতাকে উন্নত করতে এবং স্থায়িত্বের উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তা করবে বলে তারা মত দেন। সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত “থ্রাইভিং টুগেদার উইথ টেক: রিয়েলাইজিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এ সেমিনারে চীন, ইতালি, ঘানা, পাকিস্তান ও ব্রাজিল- এই পাঁচটি দেশ অংশগ্রহণ করে। সেমিনারে হুয়াওয়ে এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের নেয়া সবচাইতে কার্যকরী সাসটেইনেবিলিটি বা টেকসই উদ্যোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।

ব্রাজিলে, ‘ভেলোসো নেট’এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে হুয়াওয়ে। সেখানে হুয়াওয়ের প্রযুক্তিসেবায় অ্যামাজনাস রাজ্যের ৩০ শতাংশ বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকফরনেচার’ প্রকল্পের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচারের (আইইউসিএন) সঙ্গেও কাজ করে, যার লক্ষ্য হলো জীববৈচিত্র্যের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

চীনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের কমিশনার ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জেফরি স্যাক্স। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে চ্যালেঞ্জ বেড়েই চলেছে। তাই প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন জরুরি, যেমনটা হুয়াওয়ে যুগান্তকারী সব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো যায় এবং এমনকি এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছেও পৌঁছানো সম্ভব; যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ‘বেইজ স্টেশনের’ কাছে অর্থ্যাৎ নেটওয়ার্কের আওতায় থাকছে, ডিজিটাল সংযোগ (কানেক্টিভিটি) রয়েছে এবং তাদের কাছে একটি ডিভাইস রয়েছে।”

হুয়াওয়ে আইসিটি মার্কেটিংয়ের প্রেসিডেন্ট জেফরি ঝউ বলেন, “আমাদের পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি পরিচালনা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল বিশ্ব তৈরিতে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতা ব্যবহার করছি।”

হুয়াওয়ের ৫জি চীনের ইউনানের কফি চাষকে উন্নত করছে, শিমের গুণমান উন্নত করছে এবং ই-কমার্সের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে, যা স্থানীয় কফিকে একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

হুয়াওয়ের ‘টেকফরঅল নেচার গার্ডিয়ান’ প্রকল্প ইতালির ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারকে (ডব্লিউডব্লিউএফ) সঙ্গে নিয়ে ১৬টি খামারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অ্যাকোস্টিক মনিটরিং স্থাপন করে। যাতে দেখা যায়, গতানুগতিক খামারগুলির তুলনায় ১০ শতাংশেরও বেশি প্রজাতির প্রাণী ইকোফার্মে বাস করে।

পাশাপাশি, হুয়াওয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, পাকিস্তানের গোকিনায় তাদের যোগাযোগের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। যার ফলে টেলিমেডিসিন এবং দূরশিক্ষার (ডিসট্যান্স এডুকেশন) সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।

ঘানায়, পশ্চিম আফ্রিকার প্রাথমিক ভাসমান হাইড্রো-সোলার হাইব্রিড প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বোনো অঞ্চলে একটি কাজু বাদামের কারখানা পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে নারীসহ ৮০০ জনেরও বেশি নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.