দিয়াবাড়িতে ঈদের একটা ফিকশনের শুটিংয়ে। আপাতত কাজটির নাম ‘রোমিও’ রাখা হয়েছে, পরে পরিবর্তন হতে পারে। মিশু সাব্বির ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করছি।
মাবরুর রশিদ বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটক আসবে—‘অবসরপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী’। এটার শুটিং শেষ। ‘বিবেক’ নামের আরেকটি নাটক আছে। এ ছাড়া দীপ্ত প্লের ওয়েব ফিল্ম ‘নিকষ’-এ কাজ করেছি। এটাও ঈদে আসবে।
নারীপ্রধান চরিত্রগুলোর প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করে। নারীপ্রধান গল্প নিয়ে তনয়া, বদনাম-এ অভিনয় করেছি।
ওটিটি, টেলিভিশন, ইউটিউব—সব মাধ্যমেই তো দেখি আপনি আছেন…
গল্প ভালো হলে যে প্ল্যাটফর্মই হোক, কাজটা করি। তবে ওটিটির কাজে নিজেকে প্রস্তুত করতে সময় পাওয়া যায়। যখন সময় পাওয়া যায়, তখন কাজও ভালো হয়। টেলিভিশন ও ইউটিউবের ক্ষেত্রে সে সময়টা পাওয়া যায় না। তাই সন্তুষ্টি একটু কম থাকে।
চেষ্টা করছি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার। কিন্তু নিয়মিত কাজ করলে চরিত্রগুলো একই ধরনের হয়ে যায়। কারণ, দর্শক যখন একটা চরিত্র পছন্দ করেন, তখন একই ধরনের চরিত্রের জন্য প্রস্তাব বেশি আসে।
এসএসসি পরীক্ষার পর ‘রঙ ঢঙ’ সিনেমায় অভিনয় করি। সিনেমাটির ‘বয়স ষোলোতে প্রেম’ গানটি দিয়ে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। তবে মা-বাবা চেয়েছেন, আগে পড়াশোনাটা শেষ করি। তাই অনেক দিন কাজ করা হয়নি। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় চালিয়ে যাওয়া একটু কঠিন। এখন স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। কিছুদিন পরপর পরীক্ষা থাকে। দেখা যায়, একটা কাজের প্রস্তাব এল, কিন্তু তখন পরীক্ষা আছে বা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে। ওই কাজটা করা হয় না। তবে এমন সুযোগ ভবিষ্যতে অনেক আসবে, কিন্তু জীবনে পড়াশোনার গুরুত্ব অনেক।
আপনার প্রথম সিনেমাটি তো মুক্তি পায়নি।
সেন্সর পেয়েছে। সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখন দেশে নেই। আমরা চাচ্ছি, মুক্তির সময় যেন সবাই থাকে। তাই সবাই দেশে আসার অপেক্ষা করছি।
শুরুতে যখন সিনেমায় অভিনয় করেছি, তখন কিছুই বুঝতাম না। এখন নাটকের কাজ করছি, অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তাই ভালো কিছু করতে চাই। এর মধ্যে কয়েকটা সিনেমার প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু করিনি। ভিন্নধর্মী কিছু করতে চাই। হুট করে এসে হুট করে চলে যেতে চাই না।