রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন সাইফুল আমিন। তাঁর আইনজীবী আমিনুল গণী বলেন, সাইফুল আমিন অর্থদণ্ডের টাকা জমা দেবেন। তবে তিনি এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিন। পোস্টে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে পাঁচ বছরে ক্লাবটির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী টাকা আয় করেছেন। আসামির এই পোস্ট ভাইরাল হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে তিনি (বাদী) শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করতে যান। থানা থেকে তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাদীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাইফুল আমিনের পোস্টের কারণে বাদী সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে নয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আমিনুল গণী।