বিশ্বকাপ জেতার সুবাদে প্রাইজমানি হিসেবে আইসিসির কাছ থেকে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা) পেয়েছে ভারত নারী ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫১ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, একের পর এক আসছে আরও পুরস্কারের ঘোষণা।
ভারতের সুরাটের শিল্পপতি ও রাজ্যসভার সদস্য গোবিন্দ ঢোলাকিয়াও ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এক অভিনব পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। হীরার গয়না আর সৌরবিদ্যুতের প্যানেল—এই দুই উপহার পৌঁছে যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের ঘরে।
ঢোলাকিয়া শ্রী রামকৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এমেরিটাস। ফাইনালের আগেই তিনি বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লাকে চিঠি লিখে জানান, ভারতীয় দলের প্রতিটি সদস্যকে তিনি ‘হাতে তৈরি প্রাকৃতিক হীরার গয়না’ দিতে চান। তাঁর ভাষায়, এটি হবে ক্রিকেটারদের মেধা আর দৃঢ়তার প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন।
শুধু তা–ই নয়, ঢোলাকিয়া চিঠিতে আরও লিখেছেন, প্রতিটি খেলোয়াড়ের বাড়ির ছাদে বসানোর জন্য সৌরবিদ্যুতের প্যানেলও উপহার দিতে চান তিনি—‘যেন দেশের জন্য যে আলো তারা ছড়িয়েছে, সেই আলো সব সময় তাদের জীবনেও জ্বলতে থাকে।’

দাতব্য কাজের জন্য পরিচিত ঢোলাকিয়া চিঠিতে বলেছেন, ভারতীয় নারী ক্রিকেটাররা তাঁদের সাহস, শৃঙ্খলা আর দৃঢ়তায় ইতিমধ্যেই এক শ কোটিরও বেশি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতীয় নারী দল রোববার নবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে।
এদিকে সোমবার মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে, দলের সদস্য ক্রান্তি গৌড়কে দেওয়া হবে এক কোটি রুপি পুরস্কার। টুর্নামেন্টে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্যই এই সম্মান। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘গত রাতের খেলায় আমাদের রাজ্যের মেয়ে আর দেশের মেয়েরা যেভাবে দুর্দান্ত খেলেছে, তার জন্য আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘মধ্যপ্রদেশের মেয়ে ক্রান্তি গৌড়ও বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি রুপি প্রণোদনা ঘোষণা করছি। ছাতারপুরের এই কন্যাকে আমরা গর্বের সঙ্গে সম্মান জানাচ্ছি।’
বুন্দেলখণ্ডের ছাতারপুর জেলার ঘুয়ারা গ্রামের মেয়ে ক্রান্তি গৌড় ফাইনালসহ পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ফাইনালে ৩ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান। টুর্নামেন্টের ৮ ম্যাচে ৬৩ ওভার বল করে তিনি ওভারপ্রতি ৫.৭৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

















