ভারত থেকে আমদানি করা ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ নিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এন আলম ট্রেডার্সের ট্রাক দুটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ওরফে প্রতাব মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার জানায়, আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা। এরপরই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে।
সোমবার সকালে হিলি স্থলবন্দরের ৮ জন ব্যবসায়ী প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যাংকে এলসি খুলেছেন বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ ও আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ আমদানি হবে। এর ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’
এদিকে ভারত থেকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলি ও বিরামপুরের বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমতে পারে। এ কারণে গুদামে থাকা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন।
আজ সোমবার ১৫ মণ পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯–১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করেছেন জানিয়ে বিরামপুরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন বলেন, গতকাল রোববার সকালে বিরামপুর নতুন বাজারে ভালো মানের দেশি প্রজাতির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মণ (প্রতি কেজি ৯০ টাকা) দরে। আর আমদানির খবরে সেই পেঁয়াজ ওই দিন সন্ধ্যায় বিক্রি হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা মণে (প্রতি কেজি ৬৩ টাকা)। এতে করে আজ সকাল থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে নেমে গেছে ৭০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের একাধিক সূত্র জানায়, ভারত থেকে নাসিক জাতের ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। এ পেঁয়াজ ট্রাকে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য বন্দরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।