সদ্য সমাপ্ত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা
আজ মঙ্গলবার এক টুইটে এ নিন্দা জানায় লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘এ ধরনের হামলা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় দেশটির পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি আতঙ্কের বার্তা দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে এ হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। টুইটে তারা বলেছে, ‘অবশ্যই মানবাধিকারকে সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে।’
এর আগে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। তিনি বলেন, সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।
স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি উঠেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়েও। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি বলব, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে উৎসাহিত করি। একই সঙ্গে যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি।’
গতকাল ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে বনানীর একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমকে মারধর করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী কিছু তরুণ। পরে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন হিরো আলম।