রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল সিরিজ এবং ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার থেকে নিজেদের রক্ষা করা। কিন্তু বাংলাদেশের দাপুটে পারফরম্যান্স সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছে বাবর-রিজওয়ানরা।
প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হওয়ার বাংলাদেশকে ২৬২ রানে হামিয়ে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ১৭২ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। এতে ১৮৫ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো করেছিল তৃতীয় দিনে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান। তবে ৯ ওভার পরেই ছন্দ হারায় পাকিস্তান। ২০ রান করে সাইম আইয়ুব আউট হলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি বাবর আজমও। ১৮ বলে ১১ রান করে নাহিদ রানার দ্বিতীয় শিকার হন এই তারকা ব্যাটার। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সাউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন রিজওয়ান। কিন্তু ২ রান করে নাহিদ রানার তৃতীয় শিকার হন শাকিল।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ মিস করেন সাদমান। সেই সুযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই তারকা ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আঘা সালমান।
তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরেই রিজওয়ানের প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। পরের বলেই মোহাম্মদ আলি আউট হলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে দলের হাল ধরেন আঘা সালমান। কিন্তু মির হারমাজাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন হাসান মাহমুদ। সেই সঙ্গে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ১৮৪ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। আরেক তরুণ পেসার নাহিম রানা নেন ৪ উইকেট। বাকি একটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এর আগে তৃতীয় দিনের শেষ সময়ে পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৩ ওভার ৪ বল খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ৬ রানে অপরাজিত ছিল সাইম আইয়ুব।