হাসপাতালের সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ, আহত ৭

0
25
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালায়
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
 
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে ২৫০ বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন আদর হাসপাতালের ফার্মেসিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
 
দগ্ধরা হলেন, আদর ফার্মেসির কর্মচারী মো. দুলাল (২৬) দিনমজুর আশিক (২৮) ও রাফেলসহ (৩২) অন্তত সাতজন।
 
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দি আব্দুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
 
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ৭ জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন সামান্য আহত হয়।
 
আদর হাসপাতাল ফার্মেসির মালিক মো. আব্দুল কাদের বলেন, রাত ৯টার দিকে আদর হসপিটাল ভবনের নিচে বেজমেন্টে পানির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যায় দিনমজুর আশিক ও রাফেল। তখন আমি ফার্মেসিতে ছিলাম না। একপর্যায়ে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে আকস্মিক বিকট শব্দে পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। এতে আমার ফার্মেসি দোকান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। ওই সময় দোকানে থাকা কর্মচারী দুলাল, দিনমজুর আশিক ও রাফেল দগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়।
 
তিনি আরও বলেন, আমার ফার্মেসিতে ১৭-১৮ লাখ টাকার ওষুধ ছিল। এতে আমার ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
 
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, বহুতল ভবনের বেজমেন্টে থাকা পানির সেফটিক ট্যাংক হঠাৎ করে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আদর ফার্মেসি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.