হাত-পা ঝিঁঝিঁ করা

0
196
একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ৪৫ মিনিট পরপর ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

অনেকেরই হঠাৎ হাত-পা ঝিঁঝিঁ করে বা অবশ হয়। ঘুম থেকে ওঠার সময় কারও হাত বা পা ধরে থাকে। আবার কারও রাতে একদিকে কাত হয়ে শুলে খানিকক্ষণ পর ওই পাশের হাত-পা অবশ অনুভূত হয়। তারপর শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে স্বাভাবিক হয়।

কারও কারও ক্ষেত্রে কোনো জিনিস কিছু সময় ধরে রাখলে হাত ঝিম বা অবশ মনে হয়। কিছুক্ষণ পর আর ধরে রাখতে পারেন না। এমনকি মুঠোফোনও বেশিক্ষণ কানে ধরে রাখতে পারেন না। আসুন জেনে নিই কী কী কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

কারণ

হাত ও পায়ের রক্ত চলাচলে বা স্নায়ুজনিত সমস্যায় এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

সার্ভিক্যাল স্পাইন ও লাম্বার স্পাইনে সমস্যার জন্য নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে এমন হতে পারে।

দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করলে এমনটা হতে পারে।

শোয়ার বিছানা বেশি নরম হওয়ার জন্যও এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

তা ছাড়া কিছু কিছু রোগ এ ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। যেমন সার্ভিক্যাল স্পনডাইলোসিস, কারপাল টানেল সিনড্রোম, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, মটর-নিউরন ডিজিজ ইত্যাদি। কখনো ভিটামিন বা মিনারেলসের অভাবে নার্ভে সমস্যা দেখা দিলে এটা হতে পারে।

করণীয়

 শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।

একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ৪৫ মিনিট পরপর ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত; যেমন যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তাঁরা একটু হাঁটবেন। আর যাঁরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাঁরা একটু বসে বিশ্রাম নেবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

মেরুদণ্ড বা স্নায়ুজনিত কোনো রোগ থাকলে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে।

সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে হবে।

শেষ কথা হলো, এই ধরনের উপসর্গ বা সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.