লিওনেল মেসি খেলার মাঠে আসলে কী পারেন না? এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া আসলে খুবই কঠিন। কারণ যার ফুটবলীয় নৈপুণ্যে বুদ পুরো বিশ্ব। তাকে এই প্রশ্ন করা সত্যিই বেমানান। যিনি ফুটবলকে কথা বলাতে পারেন, তার কাছে আর অসম্ভব কিছু থাকতে পারে কি?
তবে পৃথিবীর সকল মানুষেরই যেমন কিছুনা কিছু কমতি থাকে তেমনি ন্যাচারাল গেম প্লে আর নিখুঁত পায়ের এই জাদুকরেরও রয়েছে একটা কমতি। ভাবছেন, বিশ্ব জুড়ে সফল এই তারকার আবার কি কমতি থাকতে পারে?
হ্যাঁ তারও কমতি রয়েছে। আর তা হলো মেসিকে গুলি করেও পেটের ভেতর থেকে ইংরেজি বের করা যেতো না। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর প্রায় বছর হতে চলেছে, কিন্তু কোনদিন মেসিকে ইংরেজি বলতে শোনা যায়নি।
মেসির পায়ে ফুটবল যতই হাসে ইংরেজিটাও থাকে না তার পাশে। মেজর লিগ সকার খেলতে মেসি যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসে সমর্থকদের প্রথম চিন্তা সতীর্থদের কীভাবে বুঝিয়ে রাখবেন তার পাশে। কারণ তার ইংরেজি যে মুখেই থাকে ফেঁসে।
মাঠের খেলায় না হয় বল তার হয়ে কথা বলবে কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে কী হবে! দুশ্চিন্তায় ঘুম পালাবার অবস্থা সবার! তবে যাকে নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা সমর্থকদের, সেই মেসি ছিলেন নির্বিকার।
ইংরেজি না জেনেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছেন মেসি। ফুটবল বিমুখ আমেরিকানরা এখন মাঠে যাচ্ছেন ছুটে। হলিউড ও ক্রীড়া তারকারাও ভিড় জমাচ্ছন মাঠে। ইন্টার মায়ামির খেলা দেখতে।
কিন্তু মেসি তো ইংরেজি বলেন না। বার্সেলোনায় থাকতে ভাষা নিয়ে ভাবতে হয়নি মেসিকে। স্পেনের মতো আর্জেন্টিনাতেও যে মানুষ স্প্যানিশে কথা বলে। কিন্তু আমেরিকায় এসে এক আধটু না বললে কি চলে!
তবে এবার প্রথমবারের মতো মেসির মুখে ইংরেজি ফুটেছে। তাঁকে দেখা গেছে ইংরেজিতে কথা বলতে। আর সেটি ছিলো সিনেমার ট্রেইলারে। আপকামিং ‘ব্যাড বয়েজ: রাইড ওর ডাই’ সিনেমার ট্রেইলারে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে মেসিকে।
ট্রেইলারে দেখা যায়, মাইক লরি এবং মার্কাস বার্নেটের চরিত্রে অভিনয় করা উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্স এর বাড়ির কলিংবেল বেজে ওঠে। মাইক লরি তথা উইল স্মিথ উঠে গিয়ে দরজা খোলেন এবং দরজার সামনে মেসিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময়ে স্মিথের পাশে এসে দাঁড়ান বার্নেট চরিত্রে অভিনয় করা লরেন্স। মেসি তখন তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ব্যাড বয়েজ?’
তার কথা শুনে তারা ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘রং হাউজ’ এবং লাগিয়ে দেন দরজা। মেসির উচ্চারণে ইংরেজি শব্দ যদিও স্প্যানিশের মতোই লেগেছে, তবু এই দৃশ্য দেখে দর্শকরা বেশ মজা পেয়েছেন। এখন তারা অধীর আগ্রহে সিনেমাটি মুক্তির জন্য করছেন অপেক্ষা।