ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোটভুক্ত দেশ স্লোভাকিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছে রাশিয়াপন্থী দল স্লোভাক সোশ্যাল ডেমোক্রেসি (এসএসডি)। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এবার নির্বাচনে এসএসডি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্য ইউরোপের দেশটিতে জনমতের এই প্রতিফলন ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইইউয়ের ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
গতকাল শনিবার স্লোভাকিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, জনতুষ্টিবাদী ও মস্কোপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোবের্ত ফিচো নেতৃত্বাধীন দল এসএসডি ২২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে প্রগতিশীল দল হিসেবে পরিচিত প্রোগেসিভ স্লোভাকিয়া (পিএস)। ইউক্রেনপন্থী পিএসের নেতৃত্ব আছেন মিশাল সিমেস্কা।
এএসডির প্রধান রোবের্ত ফিচো এর আগে দুই মেয়াদে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আবার তাঁর সামনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এসেছে। তবে ফিচোর দল নির্বাচনে জয়ী হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে সরকার গঠন করতে হলে তাঁকে অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে মধ্য বামপন্থী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেসি (এসডি)। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন পেতার পেলেগ্রিনি। এসএসডির সাবেক সদস্য পেলেগ্রিনি দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে নতুন দল গঠন করেন।সরকার গঠনে তিনিই হবেন ‘প্লে–মেকার’।
ফিচোর দল নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে স্লোভিকায়ার অবস্থান বদলে যেতে পারে। কারণ মস্কোপন্থী ফিচো বলে আসছেন, তিনি জয়ী হলে সবার আগে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবেন। এ ছাড়া ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, বাধা দেবেন তাতে।
ফিচোর জয় স্লোভাকিয়ার জন্য একটি দুঃসংবাদ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশাল সিমেস্কা। রোববার তিনি বলেন, ‘এটা সত্য এসএসডি জয়ী হয়েছে। আমরা এই জনরায়কে সম্মান করি। কিন্তু তিনি (ফিচো) যদি সরকার গঠন করেন, তাহলে সেটা হবে আরও বড় দুঃসংবাদ।’