চলতি মৌসুমেই লিভারপুলের ক্লপ অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনু্ষ্ঠানিকতা। এবার সেই পাঠ চুকিয়ে অ্যানফিল্ডে সাড়ে ৮ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেই সঙ্গে শিষ্যদের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন নতুন কোচের হাতে।
রোববার (১৯ মে) রাতে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল। শিষ্যদের কাছে নিজের শেষ দিনে একটি দারুণ জয় উপহার পাওয়ার আশা করছিলেন ক্লপ।
তবে শিষ্যরাও হতাশ করেননি বিদায়লগ্নে ডাগ-আউটে অপেক্ষামান এই জার্মান কোচকে। এই ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনকে ২-০ হারিয়েছে লিভারপুল।
ম্যাচ শেষে নিজের উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা করেছেন ক্লপ। তার উত্তরাধিকারী হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। সমর্থকদের সামনে গান গেয়ে স্লটকে সাদরে গ্রহণ করে নেন ক্লপ।
…
স্লটের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে ক্লপ বলেন, নতুন ম্যানেজার, আমি চাই আপনারা তার নাম ঘোষণা করুন। আর্নে স্লট, না না না না না! পরের মৌসুম শুরু হলে নতুন ম্যানেজারের সঙ্গে পুরো সুর মিলিয়ে নিন। আপনি যখন শুরু করেন বিশ্বাস রাখতে শুরু করবেন। বিশ্বাস করা বন্ধ করবেন না।
তিনি বলেন, আমি অনেককে কাঁদতে দেখেছি, আমিও নিজে কাঁদছি। কিন্তু পরিবর্তন ভালো। আপনি যদি সঠিক মনোভাব নিয়ে যান এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
লিভারপুলের সদ্য বিদায়ী কোচ বলেন, আজকের মতো এমন অনেক দারুণ দিন কেটেছে। এটিই সত্যিই অসাধারণ ছিল। আবার আমার খারাপ মুহূর্তও ছিল। কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আজকের দিনে সেটি হয়নি। যা ঘটে তার জন্য আমি কেবল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।
‘যখন আপনি এটির মধ্যে থাকেন, তখন মাঝে মাঝে ভুলে যান যে, এটি আসলে কতটা মহৎ কাজ। আপনি এটাকে মেনে নিচ্ছেন। ক্লাবের ইতিহাসের একটি অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।’
২০১৫ সালে তিন বছরের চুক্তিতে লিভারপুলে এসেছিলেন ক্লপ। এসেই লিভারপুলকে বদলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭-১৮ মৌসুমে চতুর্থ স্থানে থেকে লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করান ক্লপ। যে কারণে পরের মৌসুমে সুযোগ পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার। সেই মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে নেয় অলরেডরা।
৩০ বছরের আক্ষেপকে পিছনে ফেলে ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও জিতে নেয় ক্লপের অধীনে থাকা লিভারপুল। অর্থাৎ আনফিল্ডের দলটির না পাওয়া সবকিছুই ক্লপের হাত ধরেই আসে লিভারপুলের।
লিভারপুলকে সফলতার নানা মুকুট পরিয়ে গেল জানুয়ারি মাসে হুট করে বিদায়ের ঘোষণা দেন ক্লপ। ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জানান, জীবনের শেষ দিনগুলো নিজের পরিবারকে দিতে চান ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ।