রূপাকে হত্যা করে যমুনায় ভাসিয়ে দেন স্বামী: পিবিআই

0
125
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক ও তার ভাই জহিরুল হক

বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা আত্মসাৎ ও প্রেমিককে বিয়ের অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রূপা আক্তারকে হত্যা করেন মোজাম্মেল হক। পরে মরদেহ যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেন তিনি। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হক ও তার ভাই জহিরুল হককে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার বিকেলে পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই জানায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার হিদাগারী গ্রামের সোহরাব প্রামাণিকের ছেলে মোজাম্মেল হক বছর আট আগে একই থানার ফাজিলপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়েকে রূপাকে বিয়ে করেন। তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। ২০১৯ সালে মোজাম্মেল হক মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানে থাকার সময় শাশুড়ির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯ লাখ টাকা পাঠান মোজাম্মেল হক। দেশে ফিরে তিনি জানতে পারেন স্ত্রী রূপা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে প্রেমিককে বিয়ে করে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিগাঁও গ্রামে বসবাস শুরু করে তিনি।

এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে রূপাকে তাদের দুই সন্তানের বিষয়ে আলোচনা করতে জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে যেতে অনুরোধ করেন মোজাম্মেল। দ্বিতীয় স্বামীকে না জানিয়ে ওই দিনই গাজীপুর থেকে সাবেক স্বামীর বাড়িতে যান রূপা। সেখান থেকে তাকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর চরে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায় মোজাম্মেল।

পরে তাকে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় যমুনার চরে। যাওয়ার সময় নৌকার মধ্যেই রূপাকে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এ কাজে মোজাম্মেলকে সহযোগিতা করেন তার ভাই জহিরুল হক। এ দিকে স্ত্রীর খোঁজে না পেয়ে রূপার দ্বিতীয় স্বামী উজ্জ্বল মিয়া কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে মোজাম্মেল ও জহিরকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করা হলে দুজনই এ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.