‘স্পাইডার-ম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন জ্যাক বেটস। সিনেমাটি তাঁকে এতটাই পরিচিত দিয়েছিল যে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বহু কাজকে পেছনে ফেলে তাঁর নামের আগে সিনেমাটি উচ্চারিত হতো। ভক্তদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া সিনেমার সেই ‘হেনরি’ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। জ্যাকের পরিবার এই তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ভ্যারাইটি সূত্রে আরও জানা যায়, জ্যাকের ভাগনে ডেন সুলিভান মামার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে জানান। এই অভিনেতা রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করতেন।
জ্যাকের জন্ম ও শৈশবে বেড়ে ওঠা নিউ জার্সিতে। সেখান থেকে মাত্র ১০ বছর বয়সেই তিনি পরিবারে সঙ্গে মায়ামিতে চলে আসেন। সেখানে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি কলেজে থিয়েটারের ওপর ইউনিভার্সিটি অব মায়ামি থেকে ডিগ্রি নেন। পরে তিনি শুধু অভিনয়ের জন্য নিউইয়র্ক চলে আসেন। শুরুতে নানা চ্যালেঞ্জিংয়ের মুখে পড়তে হয়। পরে কাজের সুযোগ পান ১৯৫৩ সালে।
শুরুতেই এই অভিনেতা শেকসপিয়ারের ‘রিচার্ড ৩’–এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। সেই সময়ে নিজের অভিনয়কে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য দ্য অ্যাক্টরস স্টুডিওর সদস্য হন। পরে তিনি ‘দ্য ব্লাডি ব্রড’ সিনেমাসহ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু তখনো তাঁর পরিচিতি বাড়ছিল না। সত্তর দশকের শুরুতেই তিনি নাম লেখান বিজ্ঞাপন ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান। সেগুলো তাঁকে পরিচিতি দেয়।
‘দ্য এজ অব নাইট’, ‘দ্য ডক্টরস’, ‘অ্যানাদার ওয়ার্ল্ড’, ‘অল মাই চিলড্রেন’, ফলিং ডাউন’, ‘৮ এমএম’সহ বেশ কিছু প্রশংসিত কাজ করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্পাইডার-ম্যান’ সিনেমা দিয়ে। সবশেষ তাঁকে ২০১৯ সালে ‘গুড ট্রাবল’ টিভি সিরিজে দেখা গিয়েছিল। পরে বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারেননি। তিনি ১৯ জুন মারা যান। এই অভিনেতার জন্ম ১৯২৯ সালের ১১ এপ্রিল।