চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাড়ে নয় বছর পর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার ফেনীর সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল হোসেন ওরফে লিটন (৪৫) ওই এলাকার মৃত হাফেজ আহম্মদের ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০০৮ সালের বাগেরহাট সদর থানার মৌজারডাঙ্গা গ্রামের নাসিমা বেগমের সঙ্গে পাশের এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২ বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। ওই সংসারে তার একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে নানীর কাছে রেখে চট্টগ্রামে ভাইয়ের কাছে চলে আসেন নাসিমা। পোশাক কারখানায় কাজ নেন। সেখানে আবুল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয়। ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। তারা পাহাড়তলী গ্রীনভিউ আবাসিক এলাকায় থাকতেন। বোনের বিয়ের কথা শুনে ছোট ভাই বেড়াতে আসেন। তার কাছ থেকে নাসিমার আগের বিয়ে ও তার মেয়ে সম্পর্কে জানতে পারেন আবুল হোসেন। তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কলহ হয়। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ নাসিমা বেগমকে ফোনে না পেয়ে আবুল হোসেনকে কল দেন তার ছোট ভাই হিরণ শেখ। আবুল হোসেন জানান তার বোন ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। খোঁজ না পেয়ে ৪ এপ্রিল নাসিমার ভাই-বোন তার বাসায় আসে। বাসা বন্ধ দেখে জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে গিয়ে পঁচা গন্ধ পান। পরে পুলিশ এসে বাসার প্লাস্টিকের পানির ড্রাম থেকে নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাসিমার ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, ‘পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত বিচার কার্যক্রম শুরু করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। র্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আবুল হোসেনের অবস্থান শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দীর্ঘদিন ছদ্মবেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকার কথা স্বীকার করেন।’