স্টারলিংকের দিন শেষ, আসছে তারা

0
25
‘স্টারলিংক’ ও ‘তারা’

প্রযুক্তির ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ‘স্টারলিংক’। তবে এবার সেই প্রযুক্তিকে টক্কর দিতে আবির্ভূত হয়েছে এক ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্টার্টআপ ‘তারা’ নিয়ে এসেছে স্যাটেলাইট বা ফাইবার ছাড়াই উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রযুক্তি।

কীভাবে কাজ করে তারা
‘তারা’র প্রযুক্তি মূলত কাজ করে লাইট ব্রিজ এর মাধ্যমে। এতে এক পাশে থাকে লেজার প্রজেক্টর, অন্য পাশে রিসিভার। এই লেজার সরাসরি ডেটা পাঠায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে, যার ফলে কোনো স্যাটেলাইট বা ভূগর্ভস্থ ফাইবারের প্রয়োজন পড়ে না।

গতিতে স্টারলিংককে ছাপিয়ে
তারা দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি স্টারলিংকের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি গতি দিতে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে এবং ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত তা বজায় রাখতে সক্ষম।

প্রাকৃতিক বাধায়ও নির্ভরযোগ্য
‘তারা’ ব্যবহার করছে অটো-অ্যালাইনমেন্ট সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেজারের দিক ঠিক করে সংযোগ স্থিতিশীল রাখে। কুয়াশা, বৃষ্টি বা পাখির মতো বাধাও সংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে না।

বিশ্বজুড়ে সফল ব্যবহার
ইতোমধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তারা’র প্রযুক্তি। কঙ্গো নদীর দুই তীরের রাজধানী—ব্রাজাভিল ও কিনশাসার মাঝে এই লেজার লিংকে ৭০০ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সফার হয়েছে ৯৯.৯৯% আপটাইম নিশ্চিত করে।

ফোনোটিক্স চিপ
২০২৬ সালে তারা বাজারে আনছে ‘ফোনোটিক্স চিপ’, যা ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ও IoT ডিভাইসে ব্যবহৃত হবে। দুর্যোগকালে এটি ফাইবার নেটওয়ার্কের বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে পারবে।‘তারা’র উদ্ভাবন সত্যিই এক নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন এটা কি স্টারলিংকের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যাবে? নাকি উভয় প্রযুক্তি যুগপৎ এগিয়ে গিয়ে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট অভিগম্যতা আরও সহজ করে তুলবে? উত্তর দেবে সময়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.