ফরিদপুরে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এসে চালকসহ তিনজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। এর মধ্যে মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্ব পাশে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসছিল। এ সময় একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন এসে তাদের গতি রোধ করেন এবং এক শিক্ষার্থীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে ধরে পিটুনি দেয়। তবে মূল অভিযুক্ত ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী এলাকার বিধান পোদ্দার (২৮) পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুদ্দুসুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে পিটুনি দেওয়ার সময় কে বা কারা মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফরিদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নেভায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার বলেন, বিধান পোদ্দার ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা–যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন। তবে ওই কিশোরী এ ব্যাপারে তার অভিভাবক কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায়নি। আজ সুযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তি কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেন।
আবদুল গফফার বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক দুজন হলেন ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের মামুন (৪০) ও ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার মো আলমগীর (৫২)। মাইক্রোবাসের চালককে আটক করা হয়নি।