স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর খুনের দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন

0
124

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

সোমবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আকবর হোসেন প্রকাশ আকবর (২৮), মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২), আবুল বশর প্রকাশ বশর (৪৭) ও মো. সুমন (৩০)।

নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়া বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পিপি বলেন, রায়ের সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। যথা সময়ে স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি অবগত করেন। পরদিন দুপুরের দিকে নতুন পাড়ার পশ্চিমে দুই নম্বর সুচনা কলোনির পাশের জমির হাটু পানিতে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ছাত্রী মা বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা করে।

তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এরপর ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার নয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ সোমবার এ রায় দেন বিচারক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.