কৃষি বিপণনের ‘যৌক্তিক’ দামে বাজারে তালগোল

0
63

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২৯ পণ্যের দর বেঁধে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা চলছে। রাজধানীসহ দেশের কোথাও নেই ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণের প্রভাব। উল্টো সব পণ্যের দাম আরও চড়েছে। পণ্যের দর বেঁধে দিয়েই ‘বিচারিক ক্ষমতা’ নেই– এমন ধুয়া তুলে পুরোদমে মাঠছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বাজারের এমন অস্থির সময়েও বন্ধ অধিদপ্তরের ‘কৃষকের বাজার’। এমনকি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) পরিচালিত বাজারেও মানা হচ্ছে না নির্ধারিত দাম। অন্য মন্ত্রণালয় যেখানে নিজেরাই সুলভ দরে পণ্য বিক্রি করছে, সেখানে বাজারে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রাখার মতো তেমন পদক্ষেপ নেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

উল্টো কোনো বাতচিৎ ছাড়াই হঠাৎ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে বাজারের চলমান আগুন দামে যেন ঘি ঢেলেছে। বিতর্কের মুখে পড়েছে মূল্য তালিকা; তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এ তালিকা ধরে অভিযানে গিয়ে তালগোল পাকাচ্ছে অন্য সংস্থা। ব্যবসায়ীদের যুক্তির মুখে হার মানতে হচ্ছে কখনও কখনও। ফলে রোজার আগে থেকেই বিভিন্ন পণ্যের দামে উত্তাপ থাকলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। সরকারের হুঁশিয়ারি, অভিযান আর পণ্য আমদানিতেও বাজার পরিস্থিতি বাগে না আসায় ক্রেতারা ক্ষোভে ফুঁসছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনগড়া মূল্য তালিকার কারণে বাজার হয়ে যাচ্ছে আরও নিয়ন্ত্রণহীন। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে দ্রুত তাদের দরের তালিকা নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে বসা দরকার। অন্যদিকে বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের দরকে অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটি বলেছে, যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও বিবেচনা ছাড়াই সরকারি সংস্থাটি দাম নির্ধারণ করেছে। এ জন্য তারা প্রজ্ঞাপন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে দায়সারা দাম নির্ধারণ না করে যৌক্তিক দরে ভোক্তার হাতে পণ্য দেওয়ার সুশৃঙ্খল বিপণন কাঠামো নিশ্চিত করার দাবি বাজার-সংশ্লিষ্টদের।

বাজার পরিস্থিতি
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে ২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় গত শুক্রবার। তবে বিক্রেতারা ওই নির্দেশনা আমলে না নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো পণ্য বিক্রি করছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫.৩০ টাকা নির্ধারণ হলেও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪.৩৯ টাকার জায়গায় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি রসুন ১২০.৮১ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০.২০ টাকার স্থলে ২২০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩২৭.৩৪ টাকার জায়গায় ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ৪৯.৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বেগুনের দাম। তবে এখনও প্রতি কেজি বেগুনের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কমার বদলে ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে আলুর দাম। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে ২৮.৫৫ টাকা হওয়ার কথা প্রতি কেজি আলু। তবে গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আলু এ সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা চিড়া। তবে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মুরগির দোকানগুলোতে টানানো মূল্য তালিকা অনুযায়ী এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করেছে ২৬২ টাকা। রাজধানীর সবচেয়ে সস্তা বাজারখ্যাত কারওয়ান বাজারেই তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে একমাত্র কমে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। নির্ধারিত দামের চেয়ে হালিপ্রতি দুই টাকা কম পাচ্ছেন ক্রেতারা। খোলাবাজারে ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। দেশি পেঁয়াজ ৬৫.৪০ পয়সা নির্ধারণ হলেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরের ছবিও অভিন্ন
রাজধানীর বাইরে কোনো জেলাতেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দর কার্যকর হয়নি। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে জনবল মাত্র একজন। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দর বরিশালের বাজারে কার্যকর হয়নি। দর কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কৌশলের বিষয়ে এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোনো দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। তবু প্রতিদিন আমাদের দল বাজারে তদারকি করছে। অভিযান চালাতে ভোক্তা অধিদপ্তরকে পুরোপুরি অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেটের উপপরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, ২৯ পণ্যের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী অভিযানও চালাতে চেয়েছিলাম। তবে এখন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরই বলছে অভিযানে না যেতে।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি শংকর সাহা বলেন, সরকার যে দামে বিক্রি করতে বলেছে, সে দামে আমরা কিনতেও পারছি না। রংপুরের বাজারে বিভিন্ন দপ্তর অভিযান চালালেও নির্ধারিত দরে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

নওগাঁয় সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করে গতকাল থেকে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আবু তাহের বলেন, আমরা এখনও ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত পণ্যের দাম নিয়ে কিছু জানাইনি। আজ বুধবার থেকে ব্যবসায়ীদের জানানোর কার্যক্রম শুরু হবে।

বগুড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী বলেন, সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা চালানো হচ্ছে। সচেতনতা শেষে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।

দাম কতটা ‘যৌক্তিক’ 
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করলেও তাদের দৈনিক তালিকায় থাকে ৫৩ পণ্যের যৌক্তিক মূল্য। ১৫ মার্চের ২৯ পণ্যের সরকার নির্ধারিত তালিকার ২ নম্বরে মাষকলাই ডালের যৌক্তিক খুচরা দাম উল্লেখ করা হয় কেজিপ্রতি ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তালিকায় ১২ মার্চ এই মাষকলাইয়ের দাম যৌক্তিক খুচরা মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। ১২ মার্চের তালিকায় ছোলার খুচরা দর ছিল ৯২ টাকা ৬১ পয়সা; ১৫ মার্চ যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে সরকারই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতি কেজি মাষকলাইয়ে প্রায় ৩০ টাকা এবং ছোলায় ৭ টাকা। একইভাবে ওই এক দিনের ব্যবধানে উন্নত মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমালেও ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে মোটা মসুর ডালের দাম। ডিম, মাছ ও মুরগির দাম বাড়ানো-কমানো না হলেও কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৮ টাকা, রসুনে বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা, আদায় বেড়েছে ৮ টাকা, শিমে বাড়ানো হয়েছে ৮ টাকা, টমেটোতে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বেঁধে দেওয়া দামে ২৯ পণ্য সরকারকেই বিক্রি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষকের বাজারে গতকাল দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে তালা ঝুলছে। এক বছর আগে কৃষকের বাজারে অত্যাধুনিক এই ভবন উদ্বোধন হলেও পুরোদমে চালু হয়নি। সপ্তাহে শুক্রবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য কিছু বিক্রেতা এখানে সবজি বিক্রি করেন বলে জানা গেছে। তবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র (আরবান সেলস সেন্টার) চালু আছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ২৯ পণ্য নির্ধারিত দামের বেশিতেই বিক্রি হচ্ছে। এখানে ছোলা ১১০, চিনি ১৫০, দেশি পেঁয়াজ ৯০, মসুর ডাল (উন্নত) ১৪০, প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে; যা বাইরের বাজারের চেয়েও বেশি।

বিএডিসির বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ বলেন, নির্ধারিত দামে বিক্রি করার নির্দেশনা আমরা পাইনি। অন্য দোকানে বা বাজারে যে দামে বিক্রি হয়, আমাদের দোকানেও সেই দরে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হলেও কম দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ মনগড়া মূল্য তালিকা বানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে, সেটি বাস্তবসম্মত নয়। নতুন করে ফিডের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। কোনোভাবেই এ দাম কার্যকর করা সম্ভব হবে না। এসব পণ্যের দাম নির্ধারণের আগে তাদের সংগঠনের কাউকেই ডাকা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন বলেন, দাম নির্ধারণের আগে আমাদের কাউকেই ডাকা হয়নি। টেবিলে বসে এটি বানানো হয়েছে। ফলে উৎপাদন খরচের চেয়ে খুচরা মূল্য কম নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর মগবাজারে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও টিসিবির মূল্য তালিকা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে ভয়াবহ পণ্য সংকট দেখা দিতে পারে। দাম বেঁধে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান হেলাল উদ্দিন। তাঁর ভাষ্য, ‘আমাদের দাবি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত দামে বিক্রির ব্যবস্থা করবে।’ পণ্যমূল্যে ৮২ পয়সা, ৩৩ পয়সা নির্ধারণকে ‘অযৌক্তিক ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি আমার কাছ থেকে এক কেজি বেগুন কেনে, তাকে আমি এক পয়সা ফেরত দেব কীভাবে? ফেরত না দিলে আমার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

গতকাল টাঙ্গাইলে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি বিভাগের যেসব পণ্য উৎপাদিত হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর তার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে এটি নির্ধারিত নয়। আমরা মাত্র কার্যক্রমটি শুরু করেছি। ধীরে ধীরে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে।

কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, সংস্থাটি কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া পণ্যের বাজার তদারকি করতে সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয় ও ১১টি সংস্থা আছে। তারা রোজার সময় বা যখন দাম খুব বেড়ে যায়, তখন যে যার মতো উদ্যোগ নেয়। তবে তাতে খুব একটা ফল আসে না। আবার কখনও কখনও এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত থাকে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা জনবল সংকট। আমাদের নিজস্ব বিচারিক ক্ষমতা নেই। ফলে আমরা চাইলেই বাজারে অভিযানে নামতে পারি না।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন বরিশাল, রংপুর, বগুড়া ও সিলেট ব্যুরো, ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং নওগাঁ ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.