ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবে গিয়েছেন দুই বছর হলো। সেই দুই বছরেই ‘১০০’-এর দেখা পেয়ে গেলেন পর্তুগিজ মহাতারকা! আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গোল করে ও করিয়েই এই ‘১০০’ পেয়েছেন সিআরসেভেন।
লোকে বলে বয়স হয়েছে, আগের মতো ধার আর নেই রোনালদোর। কিন্তু আসলেই কি তা–ই? এখনো তো গোল করে চলছেন সেই আগের মতোই। গতকাল রাতেও পেয়েছেন জোড়া গোল।
সৌদি প্রো লিগে আল খালিজের বিপক্ষে আল নাসরের ৩-১ গোলের জয়ে দুবার লক্ষ্য ভেদ করেন রোনালদো। প্রথমটি ৬৫ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে নিচু শটে। আর এ গোলেই দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি। ২০২৩ সালে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির হয়ে ৯২ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রাখা হয়ে গেল রোনালদোর। গোল করেছেন ৮২টি, বানিয়েছেন ১৮টি। কাকতালীয় বিষয় হলো, সৌদি ক্লাবটির হয়ে রোনালদোর অভিষেক ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি। দুই বছর পর আজও সেই একই দিন!
যোগ করা সময়ে সতীর্থের ক্রস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১০১ গোলে জড়িয়ে তাঁর নাম। এর পাশাপাশি ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৯১৯ গোল হয়ে গেল তাঁর। ১ হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে রোনালদোর চাই আরও ৮১ গোল। সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ১৩ গোল করলেন রোনালদো। এখন পর্যন্ত তাঁর গোলসংখ্যাই সর্বোচ্চ।
পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এলেও শীর্ষে থাকা আল হিলালের চেয়ে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে আল নাসর। তবে রোনালদো দলের জয়ে সন্তুষ্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভালো জয় পেলাম আজ (কাল রাতে)। চলো এগিয়ে যাই।’
রোনালদো নিজে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে কোথায় গিয়ে থামবেন, কে জানে! যেন বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধারও বাড়ছে। ত্রিশ পেরিয়ে গোল করলেন ৪৫৬টি, যেখানে নেইমারের ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৪৩৯, রাউল গঞ্জালেসের ৪৪৮, থিয়েরি অঁরির ৪১৭, ওয়েইন রুনির ৩৬৬।
রোনালদো তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ৫টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এর মধ্যে ৭০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন যে ৪টি ক্লাবের হয়ে, সব কটিতেই অন্তত ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন। ব্যতিক্রম শুধু স্পোর্টিং লিসবন।
পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুতে পর্তুগিজ ক্লাবটিতে ৩১ ম্যাচ খেলে ১১ গোলে (৫টি গোল, ৬টি গোল বানানো) অবদান করেছেন। এর বাইরে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস ও আল হিলালের হয়ে গোল করা ও করানো মিলিয়ে অন্তত ১০০টি করে গোলে অবদান আছে তাঁর।