চলতি বছরের আগস্ট মাসের তুলানায় সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ থাকলেও গত মাসে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা কমে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ থাকলেও গত মাসে তা কমে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাইয়ে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাসটিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়ায়, যা জুনে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আওতায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইংকর্তৃক প্রতিমাসে মাঠ পর্যায় হতে বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য ও সেবার মূল্য সংগ্রহপূর্বক সংগৃহীত উপাত্তসমূহ বিশ্লেষণ করে ভোক্তা মূল্য সূচকসমূহ (জাতীয়, পল্লী, শহর) এবং মূল্যস্ফীতির হার প্রণয়ন করা হয়।
সূচকসমূহ এবং মূল্যস্ফীতির হার সাধারণ, খাদ্য এবং খাদ্য বহির্ভূত এ তিন ভাগে আলাদাভাবে প্রস্তুতপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী ভিত্তি সূচক ২০২১-২২= ১০০ অনুসারে ভোক্তা মূল্য সূচক ও মূলাস্ফীতির হার নিয়ে সারণিসহ উপস্থাপন করা হয়।