রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে নবজাতক ও পরে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ই-টিকেটিংসহ বেশ কয়েকটি সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসকের দোষ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ত্রোপচার যেখানে হয় সেখানে আইসিইউ থাকতে হয়। কারণ, জরুরি কিছু ক্ষেত্রে আইসিইউ লাগতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখেছেন, তাদের আইসিইউ সেবা নেই। তাই তাদের সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
ধানমন্ডি থানা সূত্র জানায়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা মাহবুবা রহমানকে ৯ জুন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের ইচ্ছা ছিল তাঁর। মাহবুবাকে যে চিকিৎসকের অধীন ভর্তি করানো হয়, তখন সেই চিকিৎসক দেশে ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতির কথা রোগী বা রোগীর স্বজনদের জানানো হয়নি। অন্য একজন চিকিৎসক স্বাভাবিক প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রোপচার করেন। ১১ জুন নবজাতকের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে মাহবুবার শারীরিক অবস্থাও খারাপের দিকে যায়। তাঁর আইসিইউ দরকার ছিল। কিন্তু সেন্ট্রাল হাসপাতালে তা ছিল না। তাঁকে পার্শ্ববর্তী ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গতকাল রোববার তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ত্রুটি থাকতে পারে। আবার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরও ত্রুটি থাকতে পারে। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে অধ্যাপকেরা আছেন। খুব দ্রুত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, দোষী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।