সেনা শাসন ডেকে আনবেন না: নুর

0
20
সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তৃণমূলের অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা ঝামেলার সৃষ্টি করছে দাবি করে সেনা শাসনের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
 
বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র নেতারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী অতি উৎসাহিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গেও ঝামেলার সৃষ্টি করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সেনা শাসন ডেকে আনবেন না। কোথাকার আগুন কোথায় যায়, কোন ঘটনায় কি হয়-সেটি কিন্তু বলা যায় না।’
 
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক গণসমাবেশে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুর।
 
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে ও হামলা করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেন। এত বড় দল কিন্তু টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় কিন্তু পায়নি। বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।’
 
নুর বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পুরোনোদের ব্যর্থতার জঞ্জাল অপসারণ করে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। নতুনদের রাজনীতিতে আগমনের কোনও বিকল্প নেই। আগামীতে প্রত্যেকটি আসনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।’
 
দেশ সংস্কার করতে যতটুকু সময় দরকার তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেওয়া হবে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। চাঁদাবাজ দখলদাররা লেজগুঁটিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত, দোকান, মিল-ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থানে কি চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ হয়েছে? শুধুমাত্র হাত বদল হয়েছে। সুতরাং দেশের এই পরিস্থিতিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হয়তো দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমরা বলেছি, দুই বছর লাগুক, এক বছর কিংবা তিন বছর সময় লাগুক- রাষ্ট্র সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যে কয় বছর সময় লাগে, আমরা সরকারকে সেই সময় দেবো। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমরা ১৬ বছর সহ্য করেছি। এই ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বদল করার করা জন্য এই সরকার যদি দুই-এক বছর সময় নেয়, আমরা এটুকু সহ্য করতে পারবো।’
 
একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেন জনরোষ ও জনক্ষোভ তৈরি না হয়। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, মানুষের যে ভোগান্তি, এগুলো নিরসন করতে না পারলে জনক্ষোভ দেখা দেবে। সরকারকে সতর্ক করে বলছি, আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা আনুন। বর্তমানে রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান যে নৈরাজ্য চলছে সেগুলো বন্ধ করুন।’
 
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, মহানগর কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূঁইয়াসহ প্রমুখ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.