জুলাই গণহত্যা ও নিহত আবু সাঈদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করেছেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’। একইসঙ্গে তার স্নাতকের সনদ বাতিলের দাবি তুলেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দে’র পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি শাবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর লেখা পোস্ট করে বিপাকে পড়েন তিনি। পোস্টটি জনসম্মুখে আসার পর তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত সোমবার (৮ অক্টোবর) সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসাইন জানান, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ওএসডি করার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে গত দুইদিনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে ঊর্মির বিরুদ্ধে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার তাকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাংবাদিকদের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম। এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তদন্তসাপেক্ষ ও অমীমাংসিত বলে গণহত্যার সমর্থন করাসহ ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিকর লেখার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবী ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে অস্বীকার করার জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী তাপসী তাবাসসুমকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি করছি, তাপসী তাবাসসুমের স্নাতকের সনদ বাতিল করার জন্য। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের কাছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, তাপসী তাবাসসুমকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হোক।’