সূর্যের কাছে গিয়ে ইতিহাস গড়ল নাসার মহাকাশযান

0
9
সৌরপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সূর্যের কাছাকাছি চলে যেতে সক্ষম হয়েছে মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব, ছবি : নাসা

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি মহাকাশযান গতকাল শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে) সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়েছে। মহাকাশযানটির নাম ‘পার্কার সোলার প্রোব’। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান সূর্যের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্রোবটির একটি ‘আলোক সংকেত’ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের লরেল শহরে অবস্থিত জনস হপকিনস অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরিতে (এপিএল) এসে পৌঁছেছে। এখান থেকে প্রোবটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

পার্কার সোলার প্রোব সৌরপৃষ্ঠ থেকে ঘণ্টায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল গতিতে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সূর্যের দিকে ছুটতে শুরু করে। এ সময় প্রোবটিকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ ফারেনহাইট বা ৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে অবশেষে তা বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা ১১টার দিকে সৌরপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

সৌরপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ডিসেম্বর যাত্রার পর থেকে মহাকাশযান বা প্রোবটির সঙ্গে এপিএলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। মহাকাশযানটির প্রোগ্রাম এমন করে ঠিক করা ছিল, তা যদি সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি প্রত্যাশিত স্থানে পৌঁছাতে পারে, তা হলে একটি আলোক সংকেত পাঠাবে। এই সংকেতের জন্যই নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।

সংকেত পাঠানোর অর্থ হলো, মহাকাশযানটি নিরাপদ আছে এবং ঠিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারছে। আগামী ১ জানুয়ারি মহাকাশযানটি নিজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের এতটা কাছাকাছি যাওয়ার ফলে এই নক্ষত্র সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব তথ্য সূর্যের চারপাশের অতি উত্তপ্ত অঞ্চলকে বুঝতে এবং সৌরবায়ুর উৎস শনাক্ত করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।

এর আগে সূর্যের কাছাকাছি অঞ্চল প্রদক্ষিণ করে আসা মহাকাশযানগুলো বিজ্ঞানীদের নক্ষত্রটির বায়ুমণ্ডলের বাইরের সীমানা বুঝতে সাহায্য করেছিল।

বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.