মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ‘শারীরিকভাবে সুস্থ’ আছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের এক মুখপাত্র।
সামরিক হেফাজতে বন্দী শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির ৭৯তম জন্মবার্ষিকীর এক দিন পরে গতকাল বৃহস্পতিবার জান্তা সরকারের মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
২০২১ সালে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। পরে তাঁকে বন্দী করে দেশটির সেনাবাহিনী।
রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় সু চিকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সু চির এই বিচারের নিন্দা জানিয়েছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো। তারা বলছে, এটা সু চিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার কৌশল।
সু চির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। আমরা আগে তাঁর থাকার জন্য যে ব্যবস্থা করেছিলাম, সেখানেই তিনি আছেন।’
সু চিকে ঠিক কোথায় রাখা হয়েছে, তা জ মিন তুন উল্লেখ করেননি।
তবে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চিকে দেশটির রাজধানী নেপিডোতে সেনানির্মিত একটি বিশেষ কারাগারে রাখা হয়েছে।
নেপিডোতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছার পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে জান্তা সরকার বলেছিল, সু চিকে ‘প্রয়োজনীয় সেবা’ দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারে বিপুল জনপ্রিয় সু চিকে অভ্যুত্থানের পর থেকে আর জনসমক্ষে আনা হয়নি। কেবল আদালতে বিচারকাজ চলার সময় তাঁর কিছু ছবি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, কয়েক মাসব্যাপী বিচারকাজ চলার সময় দাঁতে সংক্রমণের কারণে সু চির মাথাব্যথা ও বমি হয়েছিল। এমনকি মাঝেমধ্যে তিনি খেতে পারেননি।
সু চির ছেলে কিম আরিস গত বুধবার এএফপিকে বলেন, তিনি তাঁর মায়ের বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারণে বেশ উদ্বিগ্ন।