গতকাল ম্যাচের বিরতির খানিক আগে চোট পান শামসুন্নাহার। এরপর বাকি সময় ডাগআউটে শুয়ে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় ম্যাচ শেষে। হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা আর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কালই ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সময় শামসুন্নাহারকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। রাতে বাফুফে ভবনের আবাসিক ক্যাম্পে ফেরেন শামসুন্নাহার। কিন্তু আজ সকালে অনুশীলনের সময়ও তাঁর বাঁ হাতে ক্যানোলা লাগানো ছিল। অনুশীলন শেষে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেয়েছেন মাঠেই।
মেয়েদের কোচ গোলাম রব্বানী অবশ্য জানান, শামসুন্নাহারের চোট তত গুরুতর নয়, ‘শামসুন্নাহার আজ মাঠে এসেছে। এখানে সে অনুশীলনে যা যা করার, সেগুলো করেছে। আল্লাহর রহমতে ভালো আছে সে, কোনো সমস্যা নেই। যেহেতু ডাক্তার ওকে বিশ্রামের পরামর্শ দেননি, তাই মাঠে এসেছে। তা ছাড়া আমাদের ফিজিও সব সময় ওকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।’
গত সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত মেয়েদের সাফের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের প্রথমটি করেছিলেন শামসুন্নাহার। ওই ম্যাচে চোট পেয়ে সিরাত জাহান মাঠ ছাড়লে বদলি হিসেবে নামেন এই ফরোয়ার্ড। মাঠে নেমেই ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। গতকাল নারী অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে জয়েও বড় অবদান ছিল শামসুন্নাহারের। ৩-১ ব্যবধানের জয়ে একটি গোল শামসুন্নাহারের। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করবেন কোচ।
যদিও কাল শামসুন্নাহার খেলতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলেননি গোলাম রব্বানী, ‘সে আমাদের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে নিয়েই সব রকম পরিকল্পনা থাকবে। ম্যাচ শুরুর আগপর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করব।’
গতকাল বল নিয়ে বক্সে ঢোকার মুহূর্তে শামসুন্নাহারকে ট্যাকল করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। শামসুন্নাহার বলে হেড দিতে গেলে ওই ডিফেন্ডারের হাঁটু শামসুন্নাহারের চোয়ালে আঘাত করে। এরপরই মাটিতে পড়ে যান তিনি।
শুরুতে অবশ্য কয়েক মিনিট মাঠেই শুয়েছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উঠে দাঁড়ালেও কিছুক্ষণের জন্য ‘স্মৃতিভ্রস্ট’ হয়ে গিয়েছিলেন শামসুন্নাহার। তবে এখন কোনো সমস্যা নেই বলেই জানালেন শামসুন্নাহার, ‘এখন আমি সুস্থ আছি। শুধু চোয়ালে আঘাত পাওয়ার কারণে মুখে প্রচণ্ড ব্যথা আছে। এ জন্য ভালোভাবে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারছি না।’