সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’র তাণ্ডবে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪

0
14
সুপার টাইফুন ‘রাগাসা

দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানে এ পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১২৪ জন। বর্তমানে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়টি চীনের দক্ষিণ উপকূল এবং এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকংয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় জেলা হুয়ালিয়েন-এ আছড়ে পড়ে রাগাসা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিং। খবর এএফপি ও রয়টার্স।

লি কুয়ান-তিং জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের আঘাতে হুয়ালিয়েনে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৮ জন। এ ছাড়া এখনও কমপক্ষে ১২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাগাসার প্রভাবে তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং-এ তীব্র ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে হুয়ালিয়েন ব্যতীত তাইওয়ানের অন্যান্য জেলা কিংবা হংকংয়ে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ব্যাপক শক্তি ও বিধ্বংসী ক্ষমতার কারণে ফিলিপাইন, চীন এবং তাইওয়ানের আবহাওয়াবিদরা রাগাসাকে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৩টার দিকে যখন রাগাসা ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে, সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার।

প্রথমে রাগাসা ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশের বাতানিজ দ্বীপ এলাকায় আঘাত হানে। এই দ্বীপটি তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি অবস্থিত।

দমকল কর্মকর্তা ওয়াং সে-আন জানান, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সবাই গুয়াংফু এলাকার বাসিন্দা। এই এলাকাটি ঝড়ের সময় পানির স্রোতে নদীর ওপর একটি বড় সড়ক সেতু ধসে পড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১ হাজার লোকের বসবাস এই গ্রামে, যা বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত। অনেকে এখনও আটকে আছেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.