সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের

0
10
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আসাদ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতি সিরিয়ার পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
 
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্ডানে সিরিয়া ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তাদের কার্যক্রম এবং শাসন ব্যবস্থার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ক্ষমতায় বসা গোষ্ঠীটি একসময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
 
সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। এতে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের লক্ষ্য, দেশটিতে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা।
 
জর্ডানে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের নীতিগুলো জানিয়েছি, যা চলমান সহায়তার জন্য প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো এখন অঞ্চলজুড়ে এবং এর বাইরেও গ্রহণ করা হয়েছে।
 
সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা এমন সময়ে জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যখন প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে কার্যক্রম শুরু করেছে তুরস্কের দূতাবাস। ২০১১ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের সহিংসতার জেরে দূতাবাসটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তুরস্ক সরকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.