
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছেন। গতকাল শনিবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন তিনি। এতে ২৩ জনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতন হয়। জানুয়ারি মাসে সংবিধান স্থগিত করে আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে চাপ দিয়ে আসছিল পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো।
গত মাসে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় কয়েকটি শহরে শিয়াপন্থী আলাউইত সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর সরকার গঠনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
নতুন সরকারের পরিবহনমন্ত্রী করা হয়েছে আলাউইত সম্প্রদায়ের ইয়ারুব বাদরকে। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দ্রুজ সম্প্রদায়ের আমজাদ বদরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী নারী ও বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরোধী নারীনেত্রী হিন্দ কাবাওয়াতকে সমাজকল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মেদ ইয়সর বারনিহকে অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে। মুরহাফ আবু কাসরা ও আসাদ আল-শিবানিকে যথাক্রমে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পরপর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তাঁরা।

সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো ক্রীড়া ও জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। যার দায়িত্ব পেয়েছেন রায়েদ আল-সালেহ। আসাদ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জানুয়ারি থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক বিদ্রোহী নেতা আল-শারা। তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন, যা সিরিয়ার বিধ্বস্ত জনপ্রশাসন পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের আগপর্যন্ত আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে। অন্তর্বর্তী সরকারে কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি। আল-শারা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন।
রয়টার্স