২০০৯ সালে ঢাকার আজিমপুরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনায় তদন্ত করে সমাধান করেছিলেন নির্মাতা সানী সানোয়ার। কর্মজীবনে বহু খুন তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করলেও, এ ঘটনাটি তাঁকে বিশেষভাবে নাড়া দেয়। সেই থেকে তৈরি করেন সিনেমার চিত্রনাট্য। সেই চিত্রনাট্য নিয়েই এবার মাঠে নামছেন তিনি। ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর পর সেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে সানী সানোয়ার নির্মাণ করছেন নতুন সিনেমা‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। যে সিনেমায় একটি খুন ও সেই রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প দেখা যাবে।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করবেন আজমেরী হক বাঁধন। চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছেন না অভিনেত্রী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবা ইয়াসমিনের পরামর্শ নিচ্ছেন। টানা তিনদিন তাঁর অধীনে ট্রেনিংয়েও অংশ নিয়েছেন বলে জানান।
বাঁধন বলেন, ‘এশা মার্ডার সিনেমায় পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করব। এর আগে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য গত দেড়-দুই মাস এ প্রজেক্ট নিয়েই আছি। চেষ্টা করছি নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার। এ ব্যাপারে পরিচালক সানী ভাই অনেক সহায়তা করছেন। তিন দিন পুলিশের সঙ্গে চরিত্রটি হয়ে উঠতে সেশনও করেছি।’
তিন দিনের এই সেশনে বাঁধনের সঙ্গে আরও ছিলেন ফারুক আহমেদ, সরকার রওনক রিপন, হাসনাত রিপন ও তানভীর মাসুদ।
বাঁধন আরও বলেন, ‘চরিত্রটি হয়ে উঠতে নিয়মিত ফাইট ডিরেক্টর এডওয়ার্ডের সঙ্গে কাজ করছি। তিনি মার্শাল আর্ট জানেন। তাঁর সঙ্গে ট্রেনিংটা খুব কাজে লাগবে মনে হচ্ছে। বাকিটা নির্ভর করছে শুটিংয়ের সময় আমি কতটা করতে পারব। তবে সানী ভাইয়ের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তিনি যেহেতু পুলিশে আছেন, তাই আমাদের সবারই চরিত্র হয়ে উঠতে সুবিধা হবে।’
সানী সানোয়ার বলেন, ‘সিনেমার চরিত্রটির চরিত্র হয়ে উঠতে আমরা কোনো কিছুরই কমতি রাখছি না। সব প্রপারভাবেই আগাচ্ছি। আশা করি, দর্শকদের খুন ও সেই রহস্য উদ্ঘাটনের সুন্দর একটি গল্পের সিনেমা উপহার দিতে পারব।’
কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ প্রযোজিত এশা মার্ডারে আরও আছেন– শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ প্রমুখ। চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে জামালপুরে শুরু হওয়ার কথা এশা মার্ডার সিনেমার শুটিং। আগামী রোজার ঈদে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।