ভারতের সিকিমে গত তিনদিনের অবিরাম বর্ষণের কারণে পাহাড়ি রাস্তায় ধ্বস নেমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে আটকা পড়েছেন ২ হাজার জনেরও বেশি পর্যটক। তাদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশিও আছেন।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত লাচেন এবং লাচুং এলাকার বিভিন্ন হোটেলগুলিতে আটকা পড়েছেন ১৯৭৫ জন দেশী পর্যটক ও ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের, ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং ৩ জন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪৫টি চার চাকার গাড়ি এবং ১১টি মোটরবাইকও আটকা পড়েছে। বৃষ্টি থামলেই রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তারা।
ভূমিধ্বস এবং পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কুইক রেস্পন্স টিম এর সদস্যরা, সিকিম পুলিশ, সেনাবাহিনী, ইন্দো টিবেতান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ট্রাভেল এজেন্সি এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে ১৯টি বাস এবং প্রায় ৭০টি ছোট ছোট গাড়ি পাঠানো হয়। এখনো পর্যন্ত ৩টি বাস এবং ২টি ছোট গাড়িতে করে প্রায় ১২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘১৫ জুন রাতের পর থেকে ১৬ জুন গোটা দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে, সিংটাম-ডিকচু-রাংরান-মঙ্গন-চুংথাং সংযোগকারী রাস্তাগুলির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধ্বস দেখা গেছে।’
এদিকে উত্তরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে সমতলের নদীগুলিতে পানির প্রবাহ বেড়েছে। তিস্তায় পানি বাড়ায় তিস্তার দোমোহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সেচ দপ্তর।