বিধ্বস্ত সাততলা ভবনের বেজমেন্টে এখনো ঢুকতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। সেখানে আরও মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
মেহেদীর ভাই সোহাগ ও মামাশ্বশুর আবদুল মান্নান আজ বুধবার সকালেই ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা কান্নাকাটি করছিলেন। তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরুর জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন।
মেহেদীর দোকানটি কোথায়, তা উপস্থিত লোকজনকে দেখাচ্ছিলেন সোহাগ। তিনি বলছিলেন, ‘এই সিঁড়িটার নিচেই আমার ভাইয়ের দোকান। ধ্বংসস্তূপ সরালে সিঁড়িটার নিচে ভাইকে পাওয়া যেতে পারে।’
মেহেদীর বাড়ি নোয়াখালী। তাঁর পরিবার সেখানেই থাকে। সোহাগ জানান, মেহেদীর ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বয়স ছয় বছর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মেহেদী।
আনিকা এজেন্সির কর্মচারী সম্রাটের লাশ গতকাল রাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু মালিক মমিনুদ্দিনের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। মমিনুদ্দিনের বন্ধু ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, ‘গতকাল হাসপাতালে খুঁজেছি। কোনো খোঁজ পাইনি। নিহত ও আহত—দুই তালিকাই দেখেছি। কোথাও তাঁর নাম নেই। মমিনুদ্দিন হয়তো বেজমেন্টের ভেতর আটকে আছেন।’
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে আজও উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। তাদের সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। সরিয়ে দেওয়া হলেও তারা আবার ঘটনাস্থলের আশপাশে এসে ভিড় করছে।