যানজট কমিয়ে ঢাকাকে আরও সচল ও গতিশীল করতে সায়েদাবাদ থেকে আন্তজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে কাঁচপুরে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পূর্তিতে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নগরী থেকে আন্তজেলা বাসের চাপ কমাতে আমরা ঢাকা থেকে বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তারই অংশ হিসেবে কাঁচপুরে আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের বাঘাইরে নতুন আরেকটি আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম চলমান।
মেয়র আরও বলেন, কাঁচপুরে আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কোনো বাস সায়েদাবাদে আসবে না। তখন কাঁচপুর থেকে যাত্রীরা নগর পরিবহনে যাত্রা করবেন।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন নিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘হাত-তোলা’ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পৃথিবী থেকে বিলুপ্তপ্রায় হলেও এ খাতে ঢাকা মেগাসিটি যেন কখনোই সঠিক দিশা খুঁজে পায়নি। ওই করাল গ্রাসও ভেঙে দিতে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৩টি চৌরাস্তায় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত স্থাপনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছি। বর্তমানে এটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ চলছে।
মেয়র আরও বলেন, যানজট নিরসন ও যানবাহন চলাচলের গতিশীলতা বাড়াতে বেড়িবাঁধ সড়কের রায়েরবাজার স্লুইসগেট থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত সড়কটি ৮ লেনে প্রশস্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি গত এপ্রিলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
বাস-রুট রেশনালাইজেশন নিয়ে মেয়র বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হয়। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ পরিবহন ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। তাই আরও নতুন দুটি রুটে এই বাস সেবা চালু করা গেছে। বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নগর পরিবহনের সেবা নিচ্ছেন।
দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ঐতিহ্যের, সুন্দর, সচল, সুশাসিত এবং উন্নত ঢাকা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান মেয়র। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।